কচ্ছতিভু আসলে কী? বিষয়টা এমন কী যে ৫০ বছর পরেও ভোটের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে?
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তামিলনাড়ুতে একটি প্রধান ইস্যু হয়ে উঠেছে কচ্ছতিভু। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কচ্ছতিভু দ্বীপটি ১৯৭৪ সালে শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এই দ্বীপের ইতিহাসে লুকিয়ে অজানা অনেক কথা। সবটাই জানা যাবে এই প্রতিবেদনে।
শ্রীলঙ্কার নেদুন্থিভু এবং ভারতের রামেশ্বরমের মধ্যে অবস্থিত ২৮৫ একরের কচ্ছতিভু দ্বীপটি। ভারতের উপকূল থেকে প্রায় ৩৩ কিলোমিটার দূরে রামেশ্বরমের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই দ্বীপ শ্রীলঙ্কার জাফনা থেকে প্রায় ৬২ কিমি দূরে। উভয় দেশের জেলেরাই মাছ ধরার জন্য এই দ্বীপ ব্যবহার করেন। ১৪ শতকে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের পর দ্বীপটি গঠিত হয়েছিল।
উল্লেখ্য, কচ্ছতিভু দ্বীপ তামিলনাড়ুর জেলেদের জীবিকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। তাই শ্রীলঙ্কার কাছে এই দ্বীপ হস্তান্তরের বিরুদ্ধে তামিলনাড়ুতে বহু আন্দোলনও হয়েছে এর আগে। এদিকে শ্রীলঙ্কারও দাবি, এই দ্বীপের বিশেষ তাৎপর্য আছে। সপ্তদশ দশকে রামনাথপুরম থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত রামনাদ জমিদাররা এই দ্বীপকে নিয়ন্ত্রণে এনেছিলেন। আবার ব্রিটিশ রাজত্বের সময় এটি মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির অংশ হয়ে গিয়েছিল।
একটি চুক্তি করে ইন্দিরা গান্ধী কচ্ছতিভুকে শ্রীলঙ্কার হাতে তুলে দিয়েছিলেন। চুক্তি অনুসারে, ভারতীয় জেলেদের দ্বীপে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও ১৯৭৬ সালে ভারতে জরুরি অবস্থার সময় আরও একটি চুক্তি অনুসারে দ্বীপটিতে অন্য দেশের মাছ ধরা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
ইন্দিরা সরকারের দাবি ছিল, কচ্ছতিভু শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও গভীর হবে। এদিকে তামিলনাড়ু বিধানসভার সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই শ্রীলঙ্কাকে দ্বীপটি দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেইসময় ইন্দিরা গান্ধীর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। ১৯৯১ সালে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধে ভারতের হস্তক্ষেপের পর কচ্ছতিভু ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি উঠেছিল। ২০০৮ সালে জে. জয়ললিতা আদালতে আবেদন করেছিলেন। বলা হয়েছিল যে সাংবিধানিক সংশোধন ছাড়া কচ্ছতিভু অন্য কোনও দেশের কাছে হস্তান্তর করা যাবে না। গত বছর, তামিলনাড়ুর স্টালিন সরকারও এ প্রসঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে একটি চিঠি লিখেছিলেন।