• নয়া নাকি পুরনো আয়কর কাঠামো- কোনটা বেছে নেবেন? ৩ টিপসেই কেটে যাবে ট্যাক্স জট
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৩ এপ্রিল ২০২৪
  • দিনতিনেক আগে থেকে নয়া অর্থবর্ষ শুরু হয়ে গিয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে বেতনভোগী ব্যক্তিরা কোন আয়কর কাঠামো বেছে নেবেন, তা নিয়ে বিচার-বিবেচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। নয়া এবং পুরনো আয়কর কাঠামোর মধ্যে কোনটা বেছে নেবেন, তা নিয়ে তাঁরা বিশ্লেষণ করছেন। আর সেটা বেছে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষ থেকে নয়া আয়কর কাঠামো ডিফল্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে কেউ যদি পুরনো আয়কর কাঠামোয় থাকতে চান, তাহলে তাঁকে সেই বিষয়ে জানাতে হবে। আপনি কোন আয়কর কাঠামো বেছে নেন, সেটা তিনটি টিপসেই বুঝে নিন।


    ১) করছাড় এবং ডিডাকশন- মূলত এই দুটি বিষয়ই নয়া এবং পুরনো আয়কর কাঠামোর মধ্যে ফারাক গড়ে দেয়। পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় করদাতারা আয়কর আইনের ৮০সি ধারা, ৮০ডি ধারা এবং ৮০টিটিএ ধারার আওতায় করছাড়ের সুবিধা পান। অন্যদিকে, নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় এত করছাড়ের সুবিধা না থাকলেও আয়ের ভিত্তিতে করদানের হার কম হয়ে থাকে।

    ২) ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন যে অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট (ভোট অন অ্যাকাউন্ট) পেশ করেছেন, তাতে আয়কর সংক্রান্ত কোনও পরিবর্তনের ঘোষণা করেননি। স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশনও সমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ নয়া এবং পুরনো আয়কর কাঠামো স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হবে ৫০,০০০ টাকা।


    ৩) নিয়ম অনুযায়ী, কোনও করদাতা যদি আলাদা করে আয়কর কাঠামো বেছে না নেন, তাহলে তিনি নয়া আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান বলে ধরে নেওয়া হবে। কারণ সেই নয়া আয়কর কাঠামোকে ডিফল্ট হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ যাঁরা পুরনো আয়কর কাঠামোর আওতায় থাকতে চান, তাঁদের আগেভাগেই সেটা জানিয়ে দিতে হবে নিজের কোম্পানিকে। তবে সেই কাজটা করতে ভুলে গেলেও আপনি যখন আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন, তখনও পুরনো আয়কর কাঠামো বেছে নিতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: RBI's New Rule on Loan: লোনের বোঝা কমছে! EMI দিতে দেরি হলেও বেশি চাপ হবে না, নয়া নিয়ম চালু RBI-র
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)