ওয়াটগঞ্জে তরুণীর দেহাংশ উদ্ধারের ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে খুন ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মোট ৩ টি প্যাকেটের মধ্যে যেটিতে তরুণীর মাথা ছিল, সেটি মধ্যে রাখা ছিল কংক্রিটের একটি টুকরোও। সেটি দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, দেহটি কোনও জলাশয়ে ডুবিয়ে দেওয়ার ছক কষেছিল দুষ্কৃতীরা। তদন্তকারীরা মনে করছেন, যাতে কাটা মাথা ভেসে না ওঠে সেই কারণেই হয়ত প্যাকেটের মধ্যে রাখা হয়েছিল কংক্রিটের ভারী টুকরো।সূত্রের খবর, দেহাংশের মাথায় কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই। এরপরেও তদন্তকারীরা পরীক্ষা করে দেখছেন কোনও ক্ষত ছিল কি না মাথায়। পুলিশ সূত্রের খবর, এখনও শরীরের নানান অংশ খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে, কপালে একটি ছোট টিপ ছিল। এলাকার কোথাও কোনও CCTV ক্যামেরা রয়েছে কি না সেটির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মহিলার মুখের ছবি, মিসিং পার্সন পোর্টালে আপলোড করেছে পুলিশ। সেটির মাধ্যমে তরুণীকে শনাক্ত করাপ চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শহর কলকাতার ওয়াটগঞ্জে বুকে তরুণীর টুকরো টুকরো দেহাংশ উদ্ধার হয়। কলকাতা বন্দর এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে ওই মহিলার দেহাংশগুলি পাওয়া যায়। একাধিক কালো প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় মহিলার দেহাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকাজুড়ে।
ওয়াটগঞ্জ এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই দেহাংশগুলি। গোটা বাড়িটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা প্রথমে কালো প্লাস্টিকগুলি পড়ে থাকতে দেখেন। সেই প্লাস্টিকগুলি থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ায় সন্দেহ দাঁনা বাঁধে তাঁদের মনে। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ। প্লাস্টিগুলি খুলতেই বেরিয়ে আসে দেহাংশগুলি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ডিসি বন্দর হরিকৃষ্ণ পাই এবং হোমিসাইড শাখার কর্তারা। দেহাংশগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, অন্য কোথাও খুন করে মৃতদেহ লোপাটের উদ্দেশে দেহাংশ আলাদা আলাদা করে কেটে ছড়িয়ে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।
এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় গোটা এলাকাজুড়ে। কী ভাবে ওই দেহাংশগুলি ওই জায়গায় এল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে স্থানীয়দের মধ্যেও। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ।