থালায় পড়ে মাথার চুল! হাতে ক্ষতচিহ্ন, অরুণাচলের হোটেলে দম্পতির রহস্যমৃত্যুর নেপথ্য তন্ত্রসাধনা?
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
হোটের ঘর থেকে উদ্ধার তিন জনের দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশে। এক দম্পতি সহ মোট ৩ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই দেহ উদ্ধারকে ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য।অরুণাচল প্রদেশের লোয়ার সুবানসিরি জেলার এরটি হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ওই দম্পতি সহ মোট তিনজনের দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিনজনই কেরলের বাসিন্দা। দেহগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে জানিয়েছে।
এই মৃত্যুকে ঘিরে ক্রমশই দানা বাঁধছে রহস্য। সূত্রের খবর, কালা জাদু করতে গিয়েই মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। তবে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারঁ আছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লোয়ার সুবানসিরির এসপি কেনি বাগরা জানিয়েছেন, জেলা সদরের হাপোলিতে ব্লু পাইন নামক হোটেলের ঘরে কেরলের কোট্টায়ামের এক দম্পতি এবং তিরুবনন্তপুরমের বাসিন্দা দম্পতির এক বন্ধুকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। মৃতদের সকলেরই বয়স ৩০ বছরের আশেপাশে। পুলিস সূত্রে জানা গেছে, মৃতদের নাম নবীন থমাস, তাঁর স্ত্রী দেবী বি এবং তাঁদের বন্ধু আর্য বি নায়ার। জানা গেছে, ২৭ মার্চ তিনজন গুয়াহাটির উদ্দ্যেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, নবীন একজন অনলাইন ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁর স্ত্রী দেবী একটি বেসরকারি স্কুলে জার্মান পড়াতেন। আর্য একই স্কুলে ফরাসী পড়াতেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি সুইসাইড নোট। সেই সুইসাইড নোটেই মিলেছে কালা জাদুর ইঙ্গিত।
সূত্রের খবর, এদিন হোটেলের কর্মীরা হোটেলের ঘর চেক করতে গিয়ে তিনজনের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তিন জনেরই হাতের কব্জি কাটা ছিল। সেই ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হওয়ার ফলেই তিন জনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। দম্পতির বন্ধু আর্য বি নায়ারের দেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর কব্জিতে কাটা দাগ পাওয়া গেছে। দেবী বি-র ঘাড়ে এবং কব্জিতে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অন্যদিকে নবীন থমাসকে বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। নবীনের কব্জিতেও কাটা দাগ ছিল।
খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় জেলা পুলিশ এবং ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন। জানা গেছে, আর্যর পরিজনেরা তিরুবনন্তপুরম থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করেন। পরে কেরল পুলিশ জানতে পারে যে দম্পতি বন্ধুর সঙ্গে তিনি গুয়াহাটি পাড়ি দিয়েছেন। উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোটে লেখা রয়েছে ’আমাদের কোনও ঋণ নেই. আমাদের কোনও সমস্যা নেই। আমরা সেখানে যাই যেখানে আমাদের থাকা উচিত।’ সুইসাইড নোটে তিন জনের সই রয়েছে। গটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।