• চাঁদের জন্য স্পেশাল ঘড়ি তৈরির বরাত! উৎসাহী NASA
    এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
  • এই সময়: নাসাকে ফের ঘড়ি তৈরির বরাত! ২০১৯ সালের জুনে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের সময়ে তার ভিতরে আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা নিজেদেরইতৈরি ‘ডিপ স্পেস অ্যাটমিক ক্লক’ রেখে দিয়েছিল। উদ্দেশ্য— সৌরজগতের বাইরে মহাকাশের দূরতম কোণে ভ্রমণের সম্ভাবনাকে সময়ের বিচারে খতিয়ে দেখা। বিভিন্ন জিপিএস স্যাটেলাইটে যে সব ঘড়ি রাখা থাকে, সেগুলির থেকে অন্তত ১০ গুণ নিখুঁত সময় দেখিয়েছিল সেই পারমাণবিক ঘড়ি।এ বার এক্সক্লুসিভলি চাঁদের জন্য ঘড়ি তৈরিতে নামল নাসা। পৃথিবীর মতো কি তা হলে এ বার চাঁদেও আলাদা-আলাদা টাইমজ়োন তৈরি হবে? নাসা-র দাবি, ‘টাইমজ়োনের কথা এখনই ভাবা হচ্ছে না। আপাতত আমাদের লক্ষ্য চাঁদ ও পৃথিবীর টাইম রেফারেন্সের একটা স্পেসিফিক ফ্রেম তৈরি করা।’

    ২০১৯-এ নাসা যে পারমাণবিক ঘড়ি বানিয়েছিল, তার দেখতে ছিল টোস্টারের মতো। সেই ঘড়ির কাজ ছিল, পৃথিবী থেকে সেই মহাকাশযানে কতক্ষণে একটি সিগন্যাল এসে পৌঁছচ্ছে, তার হিসেব করা। চাঁদের ঘড়ি কেমন দেখতে হবে, তা অবশ্য এখনও জানা যায়নি। ওয়াকবিহাল মহলের দাবি, আগের ওই ‘ডিপ স্পেস অ্যাটমিক ক্লক’-এর থেকেও অনেক বেশি নিখুঁত এবং সহজ ভাবে সময়-সারণী তৈরি করবে এই ঘড়ি।

    চাঁদে যে হেতু গ্র্যাভিটেশন পৃথিবীর তুলনায় কম, তাই সেখানকার সময় পৃথিবীর তুলনায় অন্তত ৫৮.৭ মাইক্রোসেকেন্ড তাড়াতাড়ি এগোয়। এ সব বিষয় মাথায় রেখে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউস নাসাকে বলেছে, চাঁদ-কেন্দ্রিক টাইম রেফারেন্স সিস্টেম তৈরি করার জন্য যেন সকল আন্তর্জাতিক এজেন্সির সঙ্গে তারা একজোট হয়ে কাজ করে।
  • Link to this news (এই সময়)