এই সময়, নয়াদিল্লি: রাজ্য সরকার চাইলেও আপাতত মাধ্যমিকস্তরের সহকারী শিক্ষকদের অন্যত্র বদলি করা যাবে না—এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ বজায় থাকবে বলে বুধবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদনকারী শিক্ষকরা দাবি করেন, রাজ্য সরকার আদালতে তাদের লিখিত বক্তব্য জানাতে দেরি করেছে। তাই তাঁদেরও পাল্টা বক্তব্য জমা দিতে কমপক্ষে চার সপ্তাহ সময় দেওয়ার আবেদন জানান এই শিক্ষকরা।আদালত তা অনুমোদনও করে। আগামী ৩১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। ২০১৭-এর এক সংশোধনীর মাধ্যমে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিসেস কমিশন আইন ১৯৯৭’-এর একটি ধারার জেরে শিক্ষকদের দূরে বদলি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে।
সরকারের পক্ষে আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায় আদালতে যুক্তি দেন, রাজ্যের আইন রাজ্যের সরকারি স্কুল শিক্ষকদের মানতেই হবে। সবাই যদি ঘরের কাছে চাকরি করতে চান, তাহলে যেখানে শিক্ষকের পদ খালি, ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি, সেখানে কী করে পড়াশোনা চলবে? যদিও আবেদনকারীদের বক্তব্য, আইনের নতুন ধারা চালু হওয়ার পর যাঁরা শিক্ষকতার কাজে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের জন্যই শুধু কার্যকর হোক দূরে বদলির নিয়ম। কিন্তু আগে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের দূর-দূরান্তে বদলি চলবে না। আদালত এই ব্যাপারে আবেদনকারীদের লিখিত বক্তব্য জানানোর আর্জি মঞ্জুর করেছে।
‘সেকেন্ডারি টিচার্স অ্যান্ড এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন 'ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল সার্ভিসেস কমিশন আইন ১৯৯৭'-র একটি ধারা উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। এই ধারাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। তাঁদের আইনজীবী শারদ সিংহানিয়া বুধবার উপস্থিত ছিলেন সর্বোচ্চ আদালতে। আবেদনকারীদের তরফে লিখিত বক্তব্য জানানোর আর্জি রাখা হয় এবং তা মঞ্জুরও করা হয়েছে বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং বিচারপতি সঞ্জয় কারোলের ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে।
এখন দেখার ৩১ জুলাই মামলার পরবর্তী শুনানিতে কী সিদ্ধান্ত নেয় সর্বোচ্চ আদালত? তবে এই অন্তর্বর্তী নির্দেশ লাগু থাকায় সাময়িক স্বস্তিতে শিক্ষকরা।