Watganj Incident : কাটা মুন্ডু কার! পরিচয় মিলল ওয়াটগঞ্জে উদ্ধার নিহত মহিলার, আটক ১
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: মোবাইল টাওয়ার ডাম্পিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়াটগঞ্জের নৃশংস খুনের ঘটনার কিনারা করল কলকাতা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে প্লাস্টিকের ব্যাগে যে মহিলার দেহের টুকরো পাওয়া গিয়েছিল, তাঁর নাম দুর্গা সরখেল (৩৪) বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওয়াটগঞ্জ থানা এলাকার হেমচন্দ্র সরণিতে বাড়ি নিহত মহিলার।ঘটনার পর থেকে তাঁর স্বামী নিখোঁজ। তবে এদিন দুর্গার এক দেওরকে জেরার জন্য আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার দেহ উদ্ধারের খবর সামনে আসতেই বুধবার দুপুরে পশ্চিম বন্দর থানায় যান স্থানীয় বাসিন্দা কৈলাস সাউ। তিনি পুলিশকে জানান, তাঁর মেয়ে গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ। সঙ্গে সঙ্গে কৈলাসকে পাঠানো হয় ওয়াটগঞ্জ থানায়। তখনই জানা যায় তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই পলাতক মৃতার স্বামী। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই ঘটনার নেপথ্যে স্বামীর ভূমিকা থাকতে পারে। সম্পর্কের টানাপোড়েন, না কি অন্য কোনও কারণে খুন, তা এখনও জানা যায়নি। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা বলেন,‘কী কারণে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ২০০৭ সালে ধোনি সরখেল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল দুর্গার। বিয়ের পর থেকে তিনি শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। পরিবারের সদস্য ছিলেন স্বামী, তাঁর দুই ভাই, বোন ও মা। নিহত বধূর এক ছেলে রয়েছে। সে দশম শ্রেণির পড়ুয়া। ধোনির বাড়ির প্রত্যেক সদস্যকে জেরা শুরু করছে পুলিশ।
বুধবার ময়নাতদন্তের প্রাথমিক যে রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে তা দেখে পুলিশের অনুমান, গলা কেটে খুন করার পরে শরীরের বিভিন্ন অংশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে টুকরো টুকরো করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে মহিলার দেহ উদ্ধারের খবর পায় পুলিশ। সম্ভবত তার ১০-১২ ঘণ্টা আগেই খুন হন দুর্গা।
এই ঘটনার খবর পেয়ে বুধবার সকালে একটি পরিবার মানিকতলা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। ওই পরিবারের নিখোঁজ মহিলা ও দুর্গার মুখের মধ্যে মিল থাকলেও পরে জানা যায়, দুজন আলাদা। ঘটনার দিন তিনটি প্যাকেটে এক মহিলার কাটামুন্ডু, বুক ও ২টি পায়ের টুকরো তদন্তকারীরা। এখনও তাঁর দুটি পায়ের পাতা, দুটি হাত ও তলপেট পাওয়া যায়নি।
পুলিশের সন্দেহ, সেগুলি অন্য কোথাও প্যাকেটে মুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার নৃশংসতা দেখে তদন্তকারীদের অনুমান, দীর্ঘদিনের রাগের কারণেই এই খুনের ঘটনা ঘটানো হয়েছে। তবে, খুন অন্যত্র করার পরে দেহ ওয়াটগঞ্জে এনে ফেলা হয়েছে বলে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার আগে পরে ওই নির্দিষ্ট এলাকায় কোন কোন মোবাইল ফোন ব্যবহার করা হয়েছিল সে বিষয়টি থেকে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে।