Recruitment Scam : স্যাংশন কবে, মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট দিতেই হবে সিএস-কে
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছিল ২০২২-এর ৩০ সেপ্টেম্বর। তারপর থেকে প্রায় দেড় বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু এই মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে রাজ্য সরকারের অনুমোদন বা স্যাংশন না-মেলায়। এরপরে নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডি ও সিবিআই আরও বেশ কয়েকটি চার্জশিট জমা দিয়েছে।এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর জন্য সিবিআইকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে সময় বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এর আগেই আদালত রাজ্যের কাছে জানতে চেয়েছিল, অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে তারা কী ভাবছে এবং কবে তারা অনুমোদন দেবে। এই অবস্থায় বুধবার হাইকোর্টে মামলাটি উঠলে ফের সময় চায় রাজ্য।
তাতে বিরক্ত বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছে, কবে রাজ্য স্যাংশন দেবে, সেটা আগামী মঙ্গলবারের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে। বেঞ্চের সতর্কবার্তা, যদি এবারও তিনি রিপোর্ট না দেন, তাহলে এই আদালত বাধ্য হবে তাঁকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দিতে।
এদিন সকালের পরে দুপুরে ফের মামলাটি উঠলে রাজ্যের কৌঁসুলি আদালতে আবেদন করেন, রিপোর্ট দাখিল করার জন্য মুখ্যসচিবকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত সময় দেওয়া হোক। তাতে ডিভিশন বেঞ্চের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘এটা যদি রাজ্যের সওয়াল হয়, তাহলে মুখ্যসচিবকে আগামিকাল (আজ, বৃহস্পতিবার) আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেবো।’
বেঞ্চের সংযোজন, নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ার দেড় বছর আগে থেকে সিবিআই মুখ্যসচিবকে স্যাংশনের জন্য চিঠি দিয়ে আসছে। তাহলে আজ হঠাৎ কেন ভোটের কাজের জন্য আদালত তাঁকে সময় দেবে? নিয়োগ দুর্নীতি মামলার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের ভূমিকায় আগের শুনানিতেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চ।
গত ২২ মার্চ মুখ্যসচিবকে নোটিসও জারি করে কলকাতা হাইকোর্ট। ৩ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট তলব করা হয়। এদিন সেই শুনানি শুরু হলে আদালত সেই রিপোর্ট চায়। কিন্তু রাজ্য জানায়, তেমন কোনও রিপোর্ট দেননি মুখ্যসচিব। আদালতের প্রশ্ন, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেপ্তার হওয়া সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সিবিআইয়ের তরফে রাজ্যের কাছে যে অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কতদিনের মধ্যে নেওয়া সম্ভব হবে?
ইডি-র আইনজীবী জানান, ২৬ মার্চ ইডির তরফে আদালতের নির্দেশ সম্পর্কে মুখ্যসচিবকে অবগত করা হয়। কিন্তু বুধবার শুনানির সময় পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট পেশ করা হয়নি। সকালে এ কথা শুনে ফের দুপুরে মামলার শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলিকে তলব করে আদালত। দুপুরে সরকারি কৌঁসুলি সময় চাইলে বিরক্ত আদালতের প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশের পরেও যদি মুখ্যসচিব কোনও পদক্ষেপ না করেন, তাহলে আমরা কেন তাঁকে সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেবো না?