DY Chandrachud: 'আমি হুইস্কির ভক্ত', সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ঠাট্টা বর্ষীয়ান আইনজীবীর, দেখুন ভিডিয়ো
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
ভরা কোর্টরুম। গুরুগম্ভীর পরিবেশ। তাও আবার সুপ্রিম কোর্ট। শুনানি চলছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে। আর সেই সময় একে অপরের সঙ্গে ঠাট্টা-মস্করায় মাতলেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় ও বর্ষীয়ান আইনজীবী দীনেশ দ্বিবেদী। সোশ্যাল মিডিয়াতেই তাঁদের সেই মস্করার ভিডিয়ো রীতিমতো ভাইরাল। গুরুগম্ভীর বিচার প্রক্রিয়ার মাঝে এমন টুকটাক হাসি-ঠাট্টার পর্ব যে কোর্ট রুমেও চলে তা দেখতে নেটিজেনদের উৎসাহের অন্ত নেই। আর ভিডিয়ো ভাইরাল হবে নাই বা কেন, সেই প্রসঙ্গ যখন মদ নিয়ে। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্য়ালকোহল নিয়ে শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি ও বর্ষীয়ান আইনজীবীর মধ্যে ইয়ার্কির ছলে বাক্য বিনিময় হয়। তাঁদের সেই ইয়ার্কি পর্বে হাসির রোল ওঠে কোর্ট রুমেও। ভরা কোর্ট রুমে এমন নজিরবিহীন পরিবেশ দেখে তাক লেগে গিয়েছে সকলেরই।কী ভাইরাল হয়েছে?
সোশ্য়াল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে বর্ষীয়ান আইনজীবী দীনেশ দ্বীবেদিকে বলতে শোনা যায়, 'প্রথমেই আমি আমার রঙিন চুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। হোলির কারণে এমনটা হয়েছে। আশপাশে অনেক বাচ্চাকাচ্চা, একাধিক নাতি-নাতনিদের ভিড় হলে এই হয় মুশকিল! আপনি নিজেকে সামলে রাখতে পারবেন না!' এসব কথা একেবারে হালকা চালে হাসতে হাসতে বলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী। দ্বীবেদির এই বক্তব্য শুনে পাল্টা মজা করতে ছাড়েননি প্রধান বিচারপতিও। পাল্টা মজাচ্ছলে তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন, 'মদ নিয়ে কিছু করেননি?' হেসে প্রধান বিচারপতিকে জবাব দেন দ্বীবেদিও। বলেন, 'অবশ্য়ই করেছি। হোলি খেলা হবে আর একটু-আদটু মদ হবে না তা হয় নাকি! আমার স্বীকার করতে কোনও দ্বিধা নেই, আমি হুইস্কির ফ্যান।' দ্বীবেদির এমন স্বীকারোক্তিকে কোর্ট রুমে হাসির রোল ওঠে।
দেখুন সেই ভিডিয়ো
দুই দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয় এই ভিডিয়ো। মুহূর্তের মধ্যে তা ভাইরাল হয়। এখনও পর্যন্ত ১.৫ লাখ ভিউ ছাড়িয়ে গিয়েছে। শেয়ার হয়েছি বিস্তর। কমেন্টেরও বন্যা বয়ে গিয়েছে। কেউ কেউ প্রশংসা করেছেন, কেউ আবার ভরা কোর্টে এমন কথোপকথনে বিরক্তও হয়েছেন।
নয় বিচারপতির বেঞ্চ ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি করছিল। বাজারে পানের জন্য যে মদ পাওয়া যায় তার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহলের মিল রয়েছে কিনা সেই বিষয়ে আলোচনা করছিলেন তাঁরা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যালকোহল উৎপাদনের ক্ষমতা কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে কার হাতে থাকা উচিত তা নিয়েই চলছিল আলোচনা। উত্তর প্রদেশের হয়ে সওয়াল করেছিলেন দ্বীবেদি। তিনি যুক্তি দেন সব ধরনের অ্যালকোহল উৎপাদনের ক্ষমতা রাজ্য়ের হাতেই থাকা উচিত।