এই সময়: সন্দেশখালিতে তাঁর খোঁজে গিয়েই আক্রান্ত হতে হয়েছিল ইডির অফিসারদের। জখম হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন তদন্তকারী। রাজ্য-রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দেওয়া ওই ঘটনায় নেপথ্যে যাঁর হাত ছিল বলে অভিযোগ, সেই শেখ শাহজাহান অবশ্য সেদিনের ঘটনাকে সমর্থন করেন না বলেই জানিয়েছেন ইডির আধিকারিকদের।সূত্রের খবর, জেরার মুখে প্রাক্তন ওই তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন, যাঁরা ওই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাঁরা ভুল করেছে। আইনের পথে তাঁদের বিচার হোক। কোনওভাবেই ওই ঘটনাকে সমর্থন করি না। কোনওভাবেই এই ঘটনায় আমি জড়িত নই। তবে সেদিনের ঘটনা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করতে অভিযুক্ত এধরনের স্ট্র্যাটেজি প্রয়োগ করেছেন বলে ইডি কর্তাদের ধারণা।
বুধবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে শাহজাহানকে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে তিনি দাবি করেন, ‘পুরোটাই মিথ্যে। ফাঁসানো হয়েছে আমাকে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’ কে করেছে ষড়যন্ত্র? শাহজাহানের বক্তব্য, ‘বুঝতেই পারছেন, কারা যড়যন্ত্র করছে।’ পরীক্ষা শেষে ফের তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘কে ষড়যন্ত্র করছে বলে মনে হয়?’ শাহজাহান উত্তর দেন, ‘সব মিথ্যা। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র।’
সোমবারই বিশেষ আদালত শাহাজাহানকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত ইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। সূত্রের খবর, জেরায় শাহজাহান দাবি করেছেন, মাছ ব্যবসা ছাড়া আর কোনও কারবারে যুক্ত ছিলাম না। রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই মানুষের স্বার্থে কাজ করে আসছি। সন্দেশখালির মানুষ তাঁকে ভালোবাসে বলেও দাবি করেছেন শাহজাহান।
এমনকী, জমি দখলের অভিযোগ এলে তা আসল মালিককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জেরায় দাবি করেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। পাশাপাশি মহিলারা যেসব অভিযোগ করেছেন, তাও ভিত্তিহীন বলে দাবি তাঁর। ইডির একটি সূত্র অবশ্য জানাচ্ছে, শাহজাহানের আরও বেশ কয়েকটি ব্যবসার সন্ধান মিলেছে। সে বিষয়ে আরও তথ্য পেতে সন্দেশখালির বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও তৃণমূল নেতাকে তলব করা হবে বলেও সূত্রের খবর।