Illegal Construction In Kolkata : বেআইনি নির্মাণ ঠেকাতে অবলুপ্ত গার্ডপ্রথা ফিরিয়ে আনছে পুরসভা
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: বেআইনি নির্মাণে রাশ টানতে কলকাতায় অবলুপ্ত ‘গার্ড’ প্রথা আবার ফিরিয়ে আনছে পুরসভা। তবে এ বার আর সরকারি ব্যবস্থাপনায় নয়, বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রথা চালু করা হবে। কলকাতা পুরসভায় এক সময়ে নিয়ম ছিল, কেউ বাড়ি বা আবাসন নির্মাণের জন্য প্ল্যান অনুমোদন করালে সে ক্ষেত্রে বিল্ডিং বিভাগের তরফে গার্ড নিয়োগ করা হতো।এদের কাজ ছিল, অনুমোদিত বিল্ডিং প্ল্যানকে ফাঁকি দিয়ে কোনও বেআইনি কাজ হচ্ছে কি না, তার উপরে নজরদারি করা। গত কুড়ি বছরেরও বেশি সময় এই নিয়ম আর কার্যকর হয়নি। বুধবার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বেআইনি নির্মাণের প্রবণতা আটাকাতে আমরা বিভিন্ন নির্মাণ ক্ষেত্রে গার্ড রাখব। আগে যাঁরা গার্ডের চাকরি করতেন, তাঁরা সকলে অবসর নিয়েছেন। এ বার বেসরকারি সংস্থা গার্ডের ব্যবস্থা করবে। বাড়ির মালিক বা আবাসন নির্মাতাকে গার্ডের খরচ দিতে হবে। ট্যাক্সের বিলে সেই খরচ যুক্ত হবে। পুরসভা বেসরকারি সংস্থাকে তার পাওনা মিটিয়ে দেবে।’
শুধু অনুমোদিত বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে নয়, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে সাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারদের যে বেআইনি নির্মাণের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সে ক্ষেত্রেও একই ভাবে গার্ড নিয়োগ করা হবে। কারণ, বেআইনি অংশে প্রোমোটার বা ডেভলপারদের তাড়াহুড়ো করে লোক ঢুকিয়ে দেওয়ার প্রবণতা রয়েছে। পরে সেই সব জায়গা থেকে আবাসিকদের বের করে দিতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয় পুরসভাকে।
তাই নির্মাণ বা কোনও অংশ বেআইনি হিসেবে চিহ্নিত হলেই পুরসভা সেখানে নজরদারির জন্য গার্ড নিয়োগ করবে বলে মেয়র জানান।
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা যদি কোথাও বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন, সে ক্ষেত্রে কলকাতা পুরসভার হেড অফিস থেকে ‘ডিমোলিশন স্কোয়াড’ পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে গিয়ে ওই বেআইনি অংশ ভেঙে দেবে।
এ জন্য কয়েকটি ডিমোলিশন স্কোয়াড কলকাতা পুরসভার সদর কার্যালয়ে প্রস্তুত থাকবে। যদিও বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক ধরে শহরের বিভিন্ন জায়াগায় বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি ডিমোলিশন স্কোয়াডকে ব্যবহার করা হয়েছে। এমনকী, গত দেড় বছরে কলকাতা পুরসভা ওই ডিমোলিশন স্কোয়াড ব্যবহার করে ৮০০-র বেশি বেআইনি নির্মাণ ভেঙেছে।
মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে পুরসভা কলকাতার খ্যাতনামা আইনজীবীদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটি প্রস্তাব পাঠালে তা পুরসভার আইন বিভাগে পাঠানো হবে। এরপরে সেই প্রস্তাব বিবেচনা করে তা পাঠানো হবে রাজ্য সরকারের কাছে। রাজ্য মন্ত্রিসভার অনুমোদন পেলে ওই প্রস্তাবকে আইন হিসেবে কার্যকর করবে পুরসভা।