Kolkata Ice Skating Rink : মেলা-প্রদর্শনীর আয়োজন বন্ধ, চরিত্র বদলাচ্ছে কলকাতার আইস স্কেটিং রিংক
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
কলকাতার আইস স্কেটিং রিংক! নামটা শুনলেই মনে আসে বছরের বিভিন্ন সময়ে নানা মেলার আয়োজন বা প্রদর্শনীর কথা। শিশুদের মনোরঞ্জন থেকে শুরু করে জনসাধারণের জন্য নানা বিকিকিনির আসর, তিলোত্তমাবাসীর কাছে চির পরিচিত এই ল্যান্ড মার্ক। তবে, চরিত্র পাল্টাতে চলেছে প্রসিদ্ধ এই হলের। আইস স্কেটিং রিংক-কে এবার ব্যবহার করা হবে খেলাধুলার প্রয়োজনে।সৈয়দ আমির আলি এভিনিউয়ের উপর অবস্থিত এই হল এতদিন ব্যবহৃত হত বিভিন্ন মেলা, অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য। প্রবেশাধিকার ছিল জনসাধারণের। তবে, এবার থেকে এই ৭,২০০ স্কয়ার ফুট জায়গা জুড়ে অবস্থিত হলটির মধ্যে বিভিন্ন খেলাধুলা প্রশিক্ষণ-অনুশীলনের জন্য প্রস্তুত করবে মডার্ন হাই স্কুল ফর গার্লস এবং মডার্ন হাই স্কুল ইন্টারন্যাশনাল।
১৯৬৮ সালে তৈরি করা হয়েছিল কলকাতা আইস স্কেটিং রিংক। যদিও ১৯৮০ সালে আইস স্কেটিং-এর সুবিধা বন্ধ হয়ে যায়। ৮০ সালের পর থেকেই এই হলকে প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এমনকি, এখানে শিশুদের জন্য চলচ্চিত্র প্রদর্শনের ব্যবস্থাও করা হত। পরবর্তীকালে, বিভিন্ন গ্ৰুপ বা কোম্পানির প্রদর্শনী থেকে শুরু করে নানা অনুষ্ঠানের জন্য ব্যবহার করা হত এই হলটিকে। স্বাভাবিকভাবেই, শহরের বাসিন্দাদের কাছে অবাধ যাতায়াত ছিল এই কমিউনিটি হলে।
তবে, আইস স্কেটিং রিংক হলটি মূলত মর্ডান হাই গ্ৰুপের মালিকানাধীন। মডার্ন হাই স্কুল ফর গার্লস এবং মডার্ন হাই স্কুল ইন্টারন্যাশনালের মধ্যে অবস্থিত এই হল। স্কুলের ডিরেক্টর দেবী কর একটি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ‘এটা স্কুলেরই একটি শিক্ষাঙ্গন হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আমরা বাইরের কোনও ভিড়কে এখানে প্রবেশের অনুমতি দেব না। তবে, আমরা খুশি কারণ আমাদের স্কুলের ছেলে-মেয়েদর খেলাধুলার জন্য আর আলাদা জায়গা খুঁজতে হবে না।’ তিনি আরও জানান, বরফ টিকিয়ে রাখতে প্রচুর শক্তি খরচা হচ্ছে, বর্তমানে যুগে যা অত্যন্ত পরিবেশ পরিপন্থী। সেই কারণে, এই আইস স্কেটিং হল চালিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।
জানা গিয়েছে, পুরো জায়গাটিতে বাস্কেট বল কোর্ট, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, থ্রো বল সহ অন্যান্য খেলার নানা আয়োজন করা হবে এই জায়গাটিতে। সেক্ষেত্রে স্কুলের ছেলে-মেয়েরাই এই জায়গাটিকে নিজেদের খেলাধূলার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন। এখানে খেলার বিভিন্ন কোর্ট এবং প্রয়োজনীয় সামগ্ৰী বসানোর জন্য এপ্রিল মাস থেকেই কাজ শুরু হচ্ছে। কয়েকমাসের মধ্যেই এর কাজ শেষ হবে বলে জানানো হয়েছে স্কুলের তরফে।