Abu Dhabi Hindu Temple : মুসলিম দেশে হিন্দু মন্দিরের রেকর্ড, এক মাসেই দর্শনার্থীর সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি আবুধাবিতে বোচসনবাসি অক্ষর পুরুষোত্তম স্বামীনরায়ণ সংস্থা বা বিএপিএস সোসাইটি নির্মিত বিশাল হিন্দু মন্দিরের উদ্বোধন করেন। তারপরই ১ মার্চ থেকে মন্দির খুলে দেওয়া হয় সাধারণ মানুষের জন্য। দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খোলার এক মাসের মধ্যেই রেকর্ড করল মুসলিম দেশের এই একমাত্র হিন্দু মন্দির। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আবুধাবিতে অবস্থিত এই হিন্দু মন্দিরে এক মাসে সাড়ে তিন লাখ দর্শনার্থী এসেছেন।প্রথম মাসেই সাড়ে তিন লাখ দর্শনার্থীদের উপস্থিতি এই হিন্দু মন্দিরটিকে রেকর্ড করতে বাধ্য করেছে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১ মার্চ মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে প্রত্যেক সপ্তাহ শেষে দেখা গেছে ৫০ হাজার দর্শনার্থী মন্দির দর্শনে এসেছেন। এটি মন্দিরটি প্রত্যেক সোমবার দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ রাখা হয়। অর্থাৎ মার্চ মাসের ৩১ দিনের মধ্যে মাত্র ২৭ দিনের জন্য মন্দিরটি সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খোলা ছিল। আর তাতেই রেকর্ড গড়েছে মন্দিরটি। প্রত্যেক সপ্তাহে মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যায় স্বামীনারায়ণ ঘাটের তীরে সাড়ে সাতটার সময় গঙ্গা আরি করা হয়, যা ভারত থেকে নিয়ে আসা গঙ্গা এবং যমুনার পবিত্র জল ব্যবহার করে তৈরি করা হয় বলে মন্দির সূত্রে জানা গেছে।
চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি মন্দিরটি উদ্বোধনের সময় পাঁচ হাজার জনেরও বেশি লোকের উপস্থিতিতে বিশালাকার এই মন্দিরটির উদ্বোধন করা হয়। মন্দিরটি তৈরি করতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। দুবাই- আবিধাবি শেখ জায়েদ হাইওয়ের আল রহবার কাছে আবু মুরেখায় ২৭ একর জমির উপর BAPS স্বামীনারায়ণ সংস্থা দ্বারা মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছে।
মন্দিরটি তৈরির জন্য ভারতেররাজস্থান থেকে আনা ১৮ লক্ষ ইট এবং ১.৮ লক্ষ ঘনমিটার বেলেপাথর দিয়ে মন্দিরটির নির্মাণ করা হয়েছে। আুধাবিতে তৈরি প্রথম এই হিন্দু মন্দিরটি যা অযোধ্যার রাম মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে।
উপসাগরের বৃহত্তম মন্দিরBAPS দ্বারার নির্মিত এই হিন্দু মন্দিরটি সমগ্র উপসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যে বৃহত্তম মন্দির। সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দুবাইতে আরও তিনটি হিন্দু মন্দির আছে। মন্দিরটি শহরের উপকন্ঠে এবং মরুভূমির মাঝখানে হওয়ায় দর্শনার্থীদের সহজে মন্দিরে পৌঁছানোর সুবিধার জন্য সপ্তাহান্তে শহর থেকে পাবলিক বাস পরিষেবাও শুরু করা হয়েছে।
মন্দিরটি উদ্বেধনে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী এখনও পর্যন্ত বুর্জ খালিফা, ফিউচর মিউজিয়াম, শেখ জায়েদ মসজিদ এবং অন্যান্য হাইটেক ভবনের জন্য পরিচিত ছিল, এখন তার সেই পরিচয়ে আরেকটি সাংস্কৃতিক অধ্যায় যুক্ত হল।