• '২-৩ দিন সময় লাগে টাকা পৌঁছতে...', বর্ধিত অর্থের সঙ্গে 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-২' নিয়েও বড় বার্তা মমতার
    এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
  • মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের অন্যতম সফল প্রকল্প হল 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'। চলতি বিধানসভা বাজেটেই এই প্রকল্পের আওতায় বাড়ানো হয়েছে টাকা। যাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় ৫০০ টাকা পেতেন, এবার থেকে তাঁরা ১০০০ টাকা করে পাবেন। পাশাপাশি যাঁরা ১০০০ টাকা করে পেতেন তাঁরা ১২০০ টাকা করে পাবেন।এপ্রিল মাস থেকেই সেই বর্ধিত অর্থ উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাওয়ার কথা। ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ ছিল। ২ তারিখ থেকে তা বাংলার 'লক্ষ্মী'-দের অ্যাকাউন্টে ঢুকতে শুরু করে। কোচবিহার থেকে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ২’ নিয়ে মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি কোচবিহারে একটি জনসভার জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন। সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, '১ তারিখ ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকে। ২-৩ দিন সময় লাগে টাকা 'ডিসবার্স' করতে, টাকাটা পৌঁছতে। ইতিমধ্যেই ১ কোটি ৯৯ মহিলার বাড়িতে টাকা পৌঁছে গিয়েছে- যাঁদের টাকা ৫০০ থেকে বেড়ে ১০০০ হয়েছে, যাঁদের ১০০০ বেড়ে ১২০০ হয়েছে। নিজেরা চেক করে নেবেন।'

    তিনি আরও বলেন, 'যাঁদের ৬০ বছর হয়ে গিয়েছে তাঁদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারটা 'ওল্ডেজ পেনশন'-এ চলে যাবে- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ২। তাঁদের স্ক্রুটিনি শুরু হয়েছে। ৬ লাখ মহিলা যাঁদের ৬০ বছর বয়স হয়ে গিয়েছে। তাঁদের টাকাও ছাড়তে শুরু হয়েছে। তাঁরাও টাকাটা পেয়ে যাবেন।' তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ঘোষণা আজকের নয়।

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অতীতেই ঘোষণা করেছিলেন, 'যাঁরা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে পরিষেবা পাচ্ছেন এমন মহিলারা ৬০ বছর হয়ে গেলেই সরাসরি বার্ধক্যভাতার জন্য বরাদ্দ ১০০০ টাকা পাবেন।' পাশাপাশি যেহেতু পুরো প্রক্রিয়াটি পোর্টালের মাধ্যমে হবে তাই এই নিয়ে আলাদা করে হওয়ার কথা নয় বলেই জানাচ্ছেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। প্রশাসনিক কর্তাদের কথায়, ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার-২ বলতে আদতে মুখ্যমন্ত্রী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে ৬০ বছরের পর সরাসরি বার্ধক্য ভাতায় নাম যাওয়া উপভোক্তাদের কথাই বলেছেন।’

    উল্লেখ্য, তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প চালু করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী মহিলা যাঁরা সরকার বা সরকার অধীনস্ত কোনও সংস্থায় কর্মরত নন তাঁরা এই ভাতা পাবেন। প্রথমে তফসিলি জাতি বা জনজাতি মহিলাদের জন্য টাকার অঙ্কটা ছিল হাজার টাকা, জেনারেলদের জন্য ছিল ৫০০। কিন্তু, তা বাড়িয়ে যথাক্রমে ১২০০ এবং ১০০০ টাকা করা হয়েছে।

    রাজ্যের মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা, তাঁদের হাতে যাতে নগদ পৌঁছোন যায় এবং শিক্ষা-জীবন যাত্রা- পরিবারে তাঁদের অংশগ্রহণ যাতে আরও ভালোভাবে হয়, সেই জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গিয়েছে। শুধু বাংলায় নয়, বাংলার বাইরেও এই প্রকল্পের বিস্তর প্রশংসা হয়েছে। এদিন কোচবিহার থেকে একাধিক বিষয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র, দাবি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।
  • Link to this news (এই সময়)