কামাই হচ্ছে স্কুল, পাকা জেটির দাবিতে বিক্ষোভ হাসনাবাদে
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়, হাসনাবাদ: নদীর চরে ফেলে রাখা ইলেকট্রিক পোস্টের উপর দিয়ে হেঁটে নৌকায় ওঠানামা করতে হয়। প্রত্যেকদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাদার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে একাধিকবার ব্লক প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি বলে স্থানীয়দের দাবি।বুধবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নদীর ঘাটে বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, কংক্রিটের জেটিঘাটের। হাসনাবাদের ডাসা নদীর পারঘাটা এলাকার ঘটনা। বিষয়টি শোনার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন এলাকার বিধায়ক।
সুন্দরবনের মানুষকে নদী পারাপার করে যাতায়াত করতে হয়। বেশ কিছু জায়গায় কংক্রিটের জেটিঘাট তৈরি হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বেশ কিছু জায়গায় ফেরিঘাটের জেটি ভেঙে পড়ে রয়েছে। হাসনাবাদের একদিকে ভবানীপুর বায়লানি ও অন্য দিকে পারঘাটা এলাকা। মাঝে ডাসা নদী।
নদী পেরিয়েই এপার-ওপার করতে হয় মানুষকে। হাসনাবাদের পারঘাটা এলাকার জেটি বেশ কয়েক বছর আগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভবানীপুর, শুলকুনি এলাকাটি একটি দ্বীপ। স্থানীয়দের দাবি, ভোট এলেই প্রার্থীদের দেখা মেলে। মেলে প্রতিশ্রুতিও। তারপরেই সব শেষ।
পারঘাটা এলাকার ওই জেটিঘাট দিয়ে প্রতিদিন কয়েকশো মানুষ যাতায়াত করেন। মৎস্য ব্যবসায়ীরা সাইকেল নিয়ে পারাপার হন। স্থানীয় বাসিন্দা লিয়াকত আলি বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর হলো জেটিঘাট না থাকায় হাঁটু সমান কাদার উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। নদীতে ভাটার সময়ে নৌকায় ওঠানামা বেশ বিপজ্জনক। বহুবার জেটিঘাটের আবেদন নিয়ে বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে জানানো হয়েছে। কোনও কাজ হয়নি।’
বিক্ষোভকারী প্রতিমা দাস বলেন, ‘নদী পার হতে কাদার মধ্য দিয়ে আমাদের প্রতিদিন সমস্যায় পড়তে হয়। স্কুলে যাওয়ার পথে নদী পার হতে গিয়ে ছেলেমেয়েরা কাদার মধ্যে পড়ে যায়। স্কুল না গিয়ে প্রায়ই বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়।’ হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, ‘ফেরিঘাটে জেটি না থাকলে সমস্যা তো হবেই। যে সব নদীতে ফেরিঘাটের দুরবস্থা সেই সব ফেরিঘাটে বড় জেটি তৈরি হবে। সেই প্রস্তাব দেওয়া আছে। খুব শীঘ্রই এই ফেরিঘাট যাতে করা হয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে আমি জানাব।’