এপ্রিলেই ৪০ ডিগ্রি ছোঁবে তাপমাত্রা, গ্রীষ্মের শুরু থেকেই কেন 'গরম নিচ্ছে' প্রকৃতি? জানুন
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
সবে শুরু হয়েছে এপ্রিল মাস। প্রথম সপ্তাহ পেরোয়নি এখনও। আর এরই মধ্যে হাঁসফাঁস গরম। দরদরিয়ে ঘাম। সকাল হতে না হতেই 'রক্তচক্ষু' সূর্য। বেলা বাড়লে তো আর কথাই নেই! এই মুহূর্তে গরম কমার কোনও পূর্বাভাস নেই? গোটা এপ্রিল মাস জুড়েই কি গরমে এমন নাভিশ্বাস উঠবে? কী জানাচ্ছে হাওয়া অফিস?হাওয়ার অফিস সূত্রে যে খবর মিলছে তা স্বস্তির নয় মোটেই। এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে রয়েছে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা, বলছে আবহাওয়া দফতর। এদিকে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত লোকসভা ভোট রয়েছে। ভোট উত্তেজনার সঙ্গে চড়চড়িয়ে চড়বে তাপমাত্রা পারদও। ভোট দিতে গিয়ে গরমে যাতে কেউ অসুস্থ না পড়েন বা কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেও যাতে তড়িঘড়ি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায় সেই বিষয়ে সতর্ক কমিশন।
বঙ্গে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও তাপপ্রবাহের সতর্কতা আগেই ছিল। অত্যাধিক গরমের কথা মাথায় রেখে স্কুল খোলার সময় সকালে খানিকটা এগিয়ে দেওয়া হয়েছে ওড়িশায়। তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বুধবারই উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য। তবে এটুকু স্পষ্ট গ্রীষ্ম তার 'খেলা' দেখাতে শুরু করে দিয়েছে এপ্রিল থেকেই। একাধিক রাজ্যে পারদ ছুঁয়েছে ৪০ ডিগ্রি। অনেকেরই প্রশ্ন এবার গরমের 'ঝাঁঝ' কেমন থাকবে? কতদিন স্থায়িত্ব হবে গ্রীষ্মের? গরম পড়ার নেপথ্য় কারণই বা কী?
আর্থ সায়েন্স এবং ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু জানিয়েছেন, এই বছর দেশের বেশিরভাগ অংশে তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। তাপপ্রবাহ পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা হয়ে মধ্য ভারতের দিকে যাবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরও পরিবর্তনশীল আবহাওয়া ও গরম নিয়ে সতর্কতা ও পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া গরমে ভোটারদের জন্য কিছু পরামর্শও দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর ভোটকেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা করার কথা বলা হয়েছে। IMD জানাচ্ছে, উত্তর-পূর্বের কিছু রাজ্য ছাড়া সমগ্র দেশে বইবে লু। সারা দেশে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে এই বছর।
কারণ কী?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন এর পিছনে একটি কারণ হতে পারে। একাধিক বিজ্ঞানী আবার পৃথিবীর ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রাকেও কারণ হিসেবে দায়ী করছেন। পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিসংখ্যানও বছরের পর বছর বেরিয়ে আসছে। ২০২৩ সাল এখনও পর্যন্ত রেকর্ডে সবচেয়ে উষ্ণ বছর ছিল।
এই বছর জাপানে চেরি ব্লসমও ফুটেছে আগেভাগেই। জলবায়ু পরিবর্তন বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সূচক হিসেবে ধরা হচ্ছে বিষয়টি। চেরি ফুল হল বিশেষ ফুল যা জাপানে মার্চ মাসে ফোটে এবং বছরের পর বছর ফুল ফোটার সময় পরিবর্তিত হওয়ার উদাহরণ রয়েছে। IMD-র পূর্বাভাস, ৪ এপ্রিল কয়েক দিনের জন্য পাকিস্তানে প্রভাব পড়বে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার। এছাড়াও, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং ওড়িশার উপর ঘূর্ণিঝড় সঞ্চালন দেখা পরিলক্ষিত হচ্ছে।