৫০০ টাকায় সার্টিফিকেট পাইয়ে দেওয়ার টোপ, শ্রীঘরে দুই সিভিক ভলান্টিয়ার
এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে প্রতারিত হতে হল বয়স্ক মানুষকে। পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা। এমনই অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ায়। ইতিমধ্যে ওই দুই অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিভিক ভলন্টিয়াররা যাতে এভাবে প্রতারণার কাজে জড়িয়ে না পড়েন, সে ব্যাপারে কড়া নজরদারি রাখা হবে বলে আশ্বস্ত কাছে জেলা প্রশাসন।শিল্প শহর হলদিয়া। সেখানে গড়ে ওঠা কারখানায় অস্থায়ী কাজে যোগদানের সময় প্রয়োজন হয় পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট। আর সেই সার্টিফিকেট পেতে গিয়ে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের ফাঁদে পা দিয়ে সমস্যায় পড়লেন এক বয়স্ক মানুষ।
জানা গিয়েছে, হলদিয়ার কোনও কারখানায় নতুন কেউ কাজে যোগ দিতে গেলে পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের প্রয়োজন। সে কারণে স্থানীয় কুমারচক গ্রামের বাসিন্দা বাহাদুরচন্দ্র দাস দুর্গাচক থানায় গিয়েছিলেন পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেটের জন্যে। আর বিষয়টি নজরে পড়ে থানার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় মান্না ও অনির্বাণ দাসের। তারা বাহাদুরবাবুকে জানান, সার্টিফিকেট পেতে অনেক ঝামেলা পোয়াতে হবে। মাত্র ৫০০ টাকা দিলেই তারা ভিতর থেকে সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করে দেবে। সেকারণে ঝামেলা এড়াতে দুই সিভিকের শর্তে রাজি হয়ে যান বাহাদুরবাবু। দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের কথা মতো ৫০০ টাকা, আধার কার্ডের জেরক্স আর দুই কপি ছবি দেন তিনি।
এরপর তাঁকে একটা মোবাইল নম্বর দিয়ে বলা হয় প্রয়োজনে এই নম্বরে যোগাযোগে করতে। ওই নম্বরে ফোন করা হলেও কেউ ফোন না ধরায় সঞ্জয়ের বাবার মুদি দোকানে যায় বাহাদুরবাবু। সেখানে সঞ্জয় সার্টিফিকেটও দেয়। কিন্তু সন্দেহ হয় দুই সিভিকের কথায়।’ এরপর তিনি দুর্গাচক থানায় যোগাযোগ করলে জানতে পারেন, তাঁকে দেওয়া সার্টিফিকেটটা ভুয়ো। থানা থেকে এমন কোনও সার্টিফিকেট ইস্যু করা হয়নি।
এরপর ১ এপ্রিল তিনি দু’জনের নামে জাল ফার্টিফিকেট দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ জানান দুর্গাচক থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। তাদের হলদিয়া আদালতে তোলা হলে পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত। হলদিয়া আদালতের আইনজীবী বিমল মাজী জানান, পুলিশ ভেরিফিকেশন সার্টিফিকেট নকল দেওয়ার অভিযোগ জমা হয় দুর্গাচক থানায় দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের নামে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের হলদিয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ৬ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। এই ধরনের সঙ্গে থানায় থানায় কড়া নজদারির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। যারা এই ধরনের কাজ করবে তাদে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।