• 'অপেক্ষা করতে পারিনি...', ঝড়ের রাতে কী ভাবে জলপাইগুড়ি পৌঁছন মমতা?
    এই সময় | ০৪ এপ্রিল ২০২৪
  • সম্প্রতি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। তার মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জলপাইগুড়ি। ঘটেছে মৃত্যু। আহতও হয়েছেন অনেকে। খবর পেয়ে ঝড়ের রাতেই জলপাইগুড়ি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়। এবার সেই দিন রাতে কী ভাবে জলপাইগুড়ি পৌঁছেছিলেন তা বিস্তারিতভাবে জানালেন মমতা।

    বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী নির্মলচন্দ্র রায়ের সমর্থনে প্রচার সভায় অংশ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি যখন খবর পেয়েছিলাম যে একটা ভয়ঙ্কর দুর্যোগে অনেকে মানুষ আশ্রয়হীন হয়ে গিয়েছে, আমি আর অপেক্ষা করতে পরিনি, আমার মন কাঁদছিল। আমার কাছে তখন প্লেনও ছিল না। আমি গৌতমকে দেবকে তার আগে পাঠিয়েছিলাম এখানে। নির্মলবাবুরা ছিলেন। আমি গৌতম দেবকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করলাম, বাগডোগরায় নাইট ল্যান্ডিং ফেসিলিটি ক'টা পর্যন্ত? গৌতম জানাল, আপিনই তো করে দিয়েছিলেন, সাড়ে দশটা পর্যন্ত। এবার আমাকে প্লেন নিয়ে আসতে হল, পাইলটদের তুলে নিয়ে আসতে হল, ফুয়েল ভর্তি করতে হল, করে আমি বাগডোগরা এসে পৌঁছলাম রাত্রি ১১টা নাগাদ।'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, 'গৌতমকে আমি বলেছিলাম, আমি যতক্ষণ না যাব, তোমরা কেউ এলাকা ছাড়বে না। মানুষের পাশে থাকবে। আমি রাত্রি সাড়ে বারোটায় এসে পৌঁছেছিলাম। তারপর যাঁরা মার গিয়েছেন তাঁদের পরিবারের সঙ্গে গিয়ে দেখা করি। তারপর জলপাইগুড়ির প্রথম যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে যাই, কিন্তু টর্চ জ্বালিয়ে। সেখান থেকে আমি যাই জলপাইগুড়ি মাল্টি সুপার হাসপাতালে। ১৫৬ জন মোট ভর্তি হয়েছিল। তার মধ্য ৩ জনকে ক্রিটিক্যাল বলে শিলিগুড়িত পাঠান হয়েছে, বাদবাদি চিকিৎসা করে অনেককে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমি যখন যাই তখনও প্রায় ৫৬ জন ছিলেন। আমি ডাক্তারদের কাজ দেখে... এত ভালো কাজ করেছেন, এত ভালো পরিকাঠামো যা অনেক মেডিক্যাল কলেজেও পাওয়া যায় না। প্রায় আড়াইটে-তিনটে নাগাদ পৌঁছলাম ত্রাণ শিবিরে, কেউ ঘুমোয়নি, সবার চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ। সবার সঙ্গে সথা বলেছি। সবার সঙ্গে কথা বলে, আরও ২-১টি জায়গা ঘুরে ভোর ৪টের সময় চালসায় পৌঁছই। তারপরের দিন আবার আমি আলিপুরদুয়ারে যাই।'

    এই প্রসঙ্গে বসতে গিয়ে বাংলার বাড়ির বিষয়টিও টেনে আনেন মমতা। তিনি বলেন, 'প্রচুর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, কারণ বেশিরভাগই মাটির বাড়ি, টিনের চাল। এই জন্যই বারবার আমরা বলেছিলাম, প্রথম দফায় ১১ লাখ মানুষকে বাংলার বাড়ি তৈরি করতে দাও।'
  • Link to this news (এই সময়)