লোকসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র কৃষ্ণনগর। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কেন্দ্র থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে এবারও তৃণমূল ভরসা করেছে 'টেস্টেড' সৈনিক মহুয়া মৈত্রের উপর। অন্যদিকে, BJP-র প্রার্থী কৃষ্ণনগর রাজপরিবারের সদস্য অমৃতা রায়।ইতিমধ্যেই প্রচার ময়দানে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন মহুয়া মৈত্র। মানুষের সমস্যার সমাধান জানতে এবার ভোট প্রচারে অভিনব কৌশল নিলেন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। তিনি পুরসভা এলাকার মানুষের মুখোমুখি হয়ে তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনতে চান। বিভিন্ন ওয়ার্ডে চলছে 'মুখোমুখি মহুয়া' কর্মসূচি। মহুয়ার এই কর্মসূচিতে কৃষ্ণনগর পুর অঞ্চলের প্রতিটি ওয়ার্ডে করা হতে চলেছে এবং সেখান থেকে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। ভোটের প্রচারে তাঁর এই কর্মসূচি যে এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে, তা বলছেন এলাকার ব্যবসায়ীরা।
লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরে প্রচারে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘মহুয়ার উপর কী অত্যাচার হয়েছে দেখেছেন! ওরা মহুয়াকে তাড়িয়ে দিয়েছে কারণ ও মানুষের কথা বলত।’ পাশাপাশি মহুয়া মৈত্রের বাড়িতে CBI তল্লাশি নিয়েও এদিন সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ওর বাবা মা বেচারা কিছু জানেন না। ও ভোটে দাঁড়ানোর পর তাঁদের বাড়িতেও রেড করে এসেছে। এদের লক্ষ্য যে কোনওভাবে মহুয়াকে হারানো। আপনারা ওকে জেতাবেন।'
প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবেকে প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন মহুয়া। এই বার মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করার পর কাকে তাঁর সামনে দাঁড় করাবে BJP! তা নিয়ে একাধিক জল্পনা চলছিল।
প্রাথমিকভাবে এক প্রাক্তন ক্রিকেটারের নামও সামনে এসেছিল। যদিও পরবর্তীতে রাজ পরিবারের সদস্য অমৃতা রায়কে প্রার্থী করা হয়। এরপর অবশ্য মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রসঙ্গ টেনে সরব হয়েছে তৃণমূল। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় ব্রিটিশদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে সিরাজউদ্দলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করেছেন, এই দাবিতে সরব নেটিজেনদের একাংশ।
যদিও বিষয়টি নিয়ে অমৃতাদেবী মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তিনি বলেছিলেন, 'মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার জন্য ব্রিটিশদের সাহায্য করেছিলেন।' না হলে সেখান সব কিছু শেষ হয়ে যেত বলেও মন্তব্য করেছিলেন অমৃতা রায়। প্রচারে একে অপরকে এক ইঞ্চি জায়গা ছেড়ে দিতে নারাজ মহুয়া এবং অমৃতা। এখন দেখার এই কেন্দ্র শেষ হাসি কে হাসে!