• সন্ধ্যায় বাড়তি এক ঘণ্টা পানীয় জল নিউ ব্যারাকপুরে, পাশের মধ্যমগ্রাম পুরসভা কী সিদ্ধান্ত নিল?
    এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত আরও এক ঘণ্টা পানীয় জল সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিল উত্তর ২৪ পরগনার নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা। গত সোমবার থেকে এই পরিষেবা চালু হয়েছে। যা নিয়ে প্রয়োজনীয় প্রচারও চালানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সিদ্ধান্তে খুশি স্থানীয়রা।পুরসভা সূত্রে খবর, সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পানীয় জলের পরিষেবা পাবেন নিউ ব্যারাকপুরের মানুষ। প্রতি বছরের মতো এ বছরও গরমে জলের চাহিদা মেটাতে এই পরিষেবা চালু করা হল বলে জানা গিয়েছে। এমনিতে সারাদিনে তিন বার সকালে তিন ঘণ্টা, দুপুরে দু’ঘণ্টা এবং বিকেলে এক ঘণ্টা জল সরবরাহ করে থাকে নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা। এর সঙ্গে রাতে আরও এক ঘণ্টা পানীয় জল সরবরাহের সিদ্ধান্তে খুশি সাধারণ মানুষ। প্রতিবছর গরমের সময় এই বিষয়টি মাথায় রাখা হয়। এবছরও তাই এলাকার মানুষকে জল-কষ্ট থেকে বাঁচাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন পুরপ্রধান প্রবীর সাহা। জল কষ্টের বিষয়টি নিয়ে নিউ বারাকপুর পুরসভার বোর্ড মিটিং এ আগেই সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকেই মিলছে এই পরিষেবা।

    জারের জলে ভেজাল! লুকিয়ে কোন বিপদ?

    স্থানীয় বাসিন্দা স্বপ্না চক্রবর্তী বলেন, 'গরমের সময়টায় জলের কষ্ট আরও বেড়ে যায়। পুরসভা এই ব্যবস্থা বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই করছে। এতে আমাদের বেশ কিছুটা উপকার হয়।' এদিকে পাশের পুরসভার এই ব্যবস্থা দেখে মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা তানিয়া রায়, স্বপন বিশ্বাস বলেন, 'আমাদের এদিকেও এই ব্যবস্থা দ্রুত করা উচিত। বেশ কয়েকবারই পুরসভা এই ব্যবস্থা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই আমাদের এদিকে কিছুটা জলের সমস্যা শুরুও হয়ে গিয়েছে।' মধ্যমগ্রাম পুরসভা চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ বলেন, 'আমরা গরমের সময় অতিরিক্ত ১ ঘণ্টা জল আগেও দিয়েছি। এই নিয়ে প্রয়োজনীয় আলোচনা সেরে তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।' উল্লেখ্য, পুর এলাকার বেশির ভাগ জায়গায় গঙ্গার পরিশ্রুত জল আসার জন্য অনেক দিনই ভূগর্ভস্থ জল তোলা বন্ধ।

    ভূগর্ভস্থ জলস্তর দিন দিন আর নামছে। তার পিছনে যদিও রয়েছে অনেক কারণ। মাটির নীচ থেকে জল তুলে তা সরাসরি বোতলে ভরে পানীয় জল হিসেবে বিক্রি করাটা পুরোপুরি আইনবিরুদ্ধ। এমন কারখানার অনুমতিও দিতে পারে না পুরসভা। কিন্তু, অনেক সময়ই সমস্ত নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে, ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে জল বোতলে ভরার কারখানা।
  • Link to this news (এই সময়)