Calcutta High Court : দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে সিলমোহর ডিভিশন বেঞ্চের
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: দাড়িভিট মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের দেওয়া এনআইএ-তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এনআইএ-কে তদন্তের সব নথি দ্রুত তুলে দেবে রাজ্য পুলিশ। গুলিতে প্রাণ হারানো দুই যুবকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণের টাকা তিন সপ্তাহের মধ্যে দিতে হবে রাজ্যকে।সিঙ্গল বেঞ্চের আগের নির্দেশ না-মানায় মুখ্যসচিব-সহ অন্য সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে রুল ইস্যুর উপর কোনও স্থগিতাদেশ ডিভিশন বেঞ্চ দেবে না বলেও এ দিন জানিয়ে দেয় আদালত। ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশ যে কার্যকর হয়েছে, সেই রিপোর্ট আদালতে রাজ্যকে জমা দিতে হবে আগামী ১৫ মে।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ বহাল রাখার পিছনে যুক্তি হিসেবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের যুক্তি— যেহেতু শিডিউল্ড অফেন্স রয়েছে, সে ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে। অফিসারদের বিরুদ্ধে কনটেম্পট রুলেও স্টে দেওয়া যাবে না। সেটা বিবেচনা করবে সিঙ্গল বেঞ্চ।
এ দিন রাজ্য জানায়, সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে ভিত্তি করেছেন। অথচ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন বা এনএইচআরসি-র রিপোর্টে ভরসা করার কোনও জায়গা নেই। ওই রিপোর্ট দেখে সিঙ্গল বেঞ্চ তদন্তভার এনআইএ-কে দিয়ে দিলো— এমনটা বক্তব্য রাজ্যের। মামলায় প্রাথমিক ভাবে সিবিআই তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছিলো। যদি ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের এক্তিয়ারই না-থাকে, তা হলে সেই রিপোর্টের কোনও গ্রহণযোগ্যতা থাকতে পারে না। যদিও এনআইএ-র কৌঁসুলি বলেন, ‘আমরা সমস্ত পেপার, নথি চেয়েছিলাম। রাজ্য সে সব দেয়নি। এখানে শিডিউল্ড অফেন্স আছে।’
মামলাকারী আইনজীবী বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ ছিল, মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার। সেটাও দেওয়া হয়নি। স্থানীয় সাংসদ, পুলিশ সুপারকে এনএইচআরসি অভিযুক্ত করেছিল নিজেদের রিপোর্টে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপই করেনি।
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এনআইএ-তদন্তের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে রাজ্য। সেই মামলার শুনানির আগেই নির্দেশ কার্যকর না-করায় রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিআইজি-সিআইডির বিরুদ্ধে রুল জারি করে সিঙ্গল বেঞ্চ। আগামী ১৫ মে তারও শুনানির সম্ভাবনা।