• 'শেষ সময়সীমা', বিরোধী জোটের নাম ‘ইন্ডিয়া’ রাখা নিয়ে কেন এমন বলল দিল্লি হাইকোর্ট
    এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • নিজেদের জোটের নাম ইন্ডিয়া রেখেছিল বিরোধীরা। কিন্তু কেন জোটের নাম ভারত রাখা হয়েছে তাই নিয়ে বিরোধী দলগুলোর কাছে জবাব চেয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। বিরোধী দলগুলোর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকেও নোটিশ পাঠিয়ে জবাব তলব করেছে দিল্লি হাইকোর্ট। এই বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে ১০ এপ্রিল।দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন এবং বিচারপতি মনমীত প্রীতম সিং অরোরার বেঞ্চ এই শুনানি করবে। গতবছর যখন বিরোধী দলগুলি তাদের জোটের নাম ইন্ডিয়া করেছিল। গিরিশ ভরদ্বাজ নামে এক ব্যক্তি এই বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। ভরদ্বাজ তার আবেদনে দাবি করেন, যে বিরোধী দলগুলির ভারত নামটি ব্যবহার করা বন্ধ করা উচিত। কারণ এর মাধ্যমে দলগুলি ধেশের নামে অন্যায় সুবিধা নিচ্ছে।

    তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন যে ১৯ এপ্রিল থেকে ভোট শুরু হচ্ছে, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিষয়টির শুনানি করা হোক। তবে আালত তা খারিজ করে দেয়।

    ব্যাপারটা আসলে কী?গত বছরের জুলাই মাসে বিরোধী দলগুলো তাদের জোটের নাম দিয়েছিল ইন্ডিয়া বা ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স। এরপর হাইকোর্টে পিটিশন দয়ের করেন গিরিশ ভরদ্বাজ নামে এক ব্যক্তি। তিনি দাবি করেন, যে আদালত বিরোধীদের ভারত নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ জারি করুক। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে এই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিক।

    আবেদনে বলা হয়েছে, ১৪জুলাই বেঙ্গালুরুতে বৈঠকের পরবিরোধী দলগুলি তাদের জোটের নাম ভারত হিসেবে ঘোষণা করেছিল। এসময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে প্রস্ন করেন যে তরা কি ভারতকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন? উত্তরে রাহুল গান্ধী বলেন এই লড়াই এনডিও এবং ভারতের মধ্যে। এটি নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতের মধ্যে। ভারদ্বাজ জানিয়েছেন, যে দেশের নাম টেনে রাহুল গান্ধী খুব চালাকির সঙ্গে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লড়াই আমাদের দেশের বিরুদ্ধে। এটি বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। ২০২৪ সলেরলড়াই রাজনৈতিক দল বা জোট এবং আমাদের দেশের মধ্যে হবে।

    পিটিশনে আরও বলা হয়েছে যে অ্যালায়েন্স ইন্ডিয়ার নামকরণ করা প্রতীক ও নাম আইনের ধারা ৩এ-র অধীনে নিষিদ্ধ। হাইকোর্টের দেওয়া মেয়াদ শেষ। আবেদনকারী মঙ্গলবার হাইকোর্টে বলেছিলেন যে রাজনৈতিক দল এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে তাদের জবাব দেোয়ার জন্য ৪টি সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তারা কিছুই করেনি। মঙ্গলবার হাইকোর্ট বলেছে বিরোধী দল এবং কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে তাদের জবাব দাখিলের জন্য এক সপ্তাহ সময় রয়েছে। আদালত আরও বলেছে জবাব দাখিলের এটাই শেষ সুযোগ।
  • Link to this news (এই সময়)