শ্বশুরবাড়িতে থাকতে দিতে হবে প্রেমিককেও! স্বামী রাজি না হওয়ায় গোঁসা করে বৈদ্যুতিক খুঁটির মাথায় স্ত্রী
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে উঠলেন স্ত্রী। অতি নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী হলো গোরখপুরের একটি গ্রাম। বুধবার বিকেলে গোরখপুরের পিপরাইচ থানার কাঞ্চনপুরের কাবাদি রোড এলাকায় একজন মহিলাকে আচমকাই স্থানীয় একটি ট্রান্সফরমারের খুঁটিতে উঠতে দেখেন স্থানীয়রা। আতঙ্কে তৎক্ষণাৎ স্থানীয় থানা এবং বিদ্যুৎ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টার পর মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে খুঁটি থেকে নামিয়ে আনে পুলিশ।মহিলার স্বামী অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে গ্রামেরই এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রতিবাদ করেন স্বামী। পরে কথা বলে স্ত্রীকে বোঝাতে চাইলে কথা না শুনেই বাড়ি থেকে ওই মহিলা বেরিয়ে যান বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বামী। উল্টে তাঁর প্রেমিককে তাদের বাড়িতে একসঙ্গে থাকার কথা বলেন। তারপরই আত্মহত্যার হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ মহিলারস্বামীর।
মহিলার পরিবারের দাবি, ওই মহিলা তিন সন্তানের মা। তিনি বহুদিন থেকেই গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে রয়েছেন। প্রেমের টানে স্বামীর সঙ্গ ছেড়ে নিজের প্রেমিকের সঙ্গেই থাকতে চান তিনি। এই নিয়ে এর আগেও বহুবার স্বামীর সঙ্গে ঝামেলা করেছেন এই মহিলা।
তাঁর স্বামী জানিয়েছেন, তিনি শ্রমিকের কাজ করেন। এবং তাঁদের তিনটি সন্তান আছে। স্ত্রীর লাগাতার হয়রানির ফলে খুবই কষ্টে আছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রেমিকের প্ররোচনায় আগেও বার চারেক আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই মহিলা। কখনও রেলেলাইনে শয়ে, কখনও বিষ খেয়ে, আবার কখনও গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মহিলা। এটি তাঁর পঞ্চম প্রয়াস বলে দাবি করেছেন স্বামী। এমনকি মাস খানেক আগে বিআরডি মেডিক্যাল কলেজের পঞ্চম তলায় উঠে আত্মহত্যার চেষ্টাও মহিলা করেছিলেন বলে জানিয়েছেন পরিজনেরা।
এদিন ট্রান্সফরমারের কুঁটিতে ওঠার পর প্রতিবেশীরা তড়িঘড়ি করপোরেশনের জেইতে খবর দেন। খবর দেওয়া হয় স্থানীয় থানাতেও। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয় বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা। অনেক বোঝানোর পর দড়ি দিয়ে বেঁধে খুঁটি থেকে মহিলাকে নীচে নামায় পুলিশ। ওই মহিলার বিরুদ্ধে জেই-র তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এসপি নাথ জিতেন্দ্র কুমার শ্রীবাস্তব বলেছেন, ওই মহিলা বৌদ্যুতিক তার ছুঁয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ইলেট্রিশিয়ানদের সাহায্যে তাঁকে নীচে নামানো হয়। মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। দোষী প্রমাণিত হলে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।