‘তৃণমূলের কেউ নাগরিকত্ব পাবেন না’, শান্তনু ঠাকুরের মন্তব্যে জোর বিতর্ক
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের নাগরিকত্ব নিতে দেওয়া হবে না। বিজেপি প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের এরকমই একটি বক্তব্যের ভিডিয়োয় (সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) তৈরি হল বিতর্ক। এই বক্তব্যের কড়া নিন্দা করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। শান্তনু ঠাকুরের এই মন্তব্য নিয়ে বনগাঁ কেন্দ্রেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, সিএএ যদি সকল উদবাস্তুদের জন্য নাগরিকত্ব আইন হয়ে থাকে তখন বিজেপি করলে সেই নাগরিকত্ব পাবেন আর তৃণমূল করলে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না, এই যুক্তি কেমন! এমনকি এই দাবি রাখছেন একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
শান্তনু বলেন, ‘যেমন আধার কার্ডে বায়োমেট্রিক, চোখের ছবি তুলে করা হয়েছিল ঠিক নাগরিকত্ব সেইভাবেই করা হবে। যারা এই বিষয়ে এক্সপার্ট লোক তারা এসে আমাদের ট্রেনিং দেবে, সেইমত হবে। এখানে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকাই নেই।’ কোন পদ্ধতিতে এই কাজ করা হবে, সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানান তিনি। তিনি জানান, আমাদেরকে কোনও চিন্তাই করতে হবে না। তৃণমূলের কোনও কথাই শুনতে হবে না আমাদের। আপনারা সেল্ফ ডিক্লেয়ারেশন দেবেন। আর যখন ফিজিক্যাল ভেরিফিকেশন হবে, তখন আমাদের সঙ্গে একবার দেখা করবেন।
শান্তনু ঠাকুরকে ঘিরে তুমুল উত্তেজনা!
এরপরেই তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘তৃণমূলের লোকেদের নিতে দেবেন না। একটা তৃণমূল লোকেদের আমরা নাগরিকত্ব দেব না। তারপর ওদের দেখাবো, ওদের খেমটা নাচ কাকে বলে…দেখাবো কেন্দ্রীয় সরকারের অবমাননা করলে কী হয়! আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি, একজন কারও চাকরি যাবে না, একজন লোকের কর্মসংস্থানে ব্যাঘাত ঘটবে না। শিক্ষাক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হবে না। আমি নিজে নাগরিকত্বের জন্য করবো। আমি তো একজন সাংসদ।'
যদিও, বিজেপি প্রার্থীর এই মন্তব্যকে ঘিরে শুরু হয়েছে তুমুল বিতর্ক। এই মন্তব্যের জেরে বৃহস্পতিবার শান্তনু ঠাকুর জানান, ওঁরা তো বলেই দিয়েছে ওঁদের নাগরিকত্ব প্রয়োজন নেই, সেই কারণে ওঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘ওঁরা বুঝেই গিয়েছে হেরে যাবে, সেই কারণেই এরকম মন্তব্য করছেন।’ প্রসঙ্গত, মাস খানেক আগেই গোটা দেশ জুড়ে চালু করে দেওয়া হয় সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন। মতুয়া সম্প্রদায়ের একটা বিরাট অংশের মানুষ এর ফলে উপকৃত হবে বলে বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে।