• ভালুক, শিম্পাঞ্জিদের পাতে পড়ল দই
    আজকাল | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • সম্বৃতা মুখার্জি: গরম পড়তেই শীতঘুম কাটিয়ে আড়মোড়া ভেঙে জেগে উঠেছে সরীসৃপরা। আর তাদের জাগার সঙ্গেই শুরু হয়েছে তাদের খাওয়া দাওয়া। আলিপুর চিড়িয়াখানার কুমির ও ঘড়িয়ালদের দেওয়া হচ্ছে মাংস, ছোট–বড় মাছ। শীতকালে একটানা ঘুমিয়ে থাকে তারা। সেই সময় খাবার খায় না। তাই শীতঘুম কাটিয়ে উঠতেই তাদের দিকে নজর চিড়িয়াখানার আধিকারিক ও কর্মীদের। বড় কুমিরদের জন্য বড় মাছ, মাংসের ছাঁট বরাদ্দ। আবার ঘড়িয়ালরা খায় শুধুই মাছ। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা শুভঙ্কর সেনগুপ্ত বলেন, ‘‌গত তিন মাস সরীসৃপ জাতীয় প্রাণীরা কিছু খায়নি। তাদের খাবার দেওয়া শুরু হয়েছে। মনিটর লিজার্ডরা ব্যাঙ খায়। সাপেদের দেওয়া হচ্ছে ছোট ছোট প্রাণী।’‌তাপমাত্রার পারদ চড়ার সঙ্গে সঙ্গে চিড়িয়াখানার পশুপাখিদের জন্য খাওয়া দাওয়াতে নানা পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বাঘ, ভালুক থেকে শুরু করে অন্য পশু–পাখিদের খাঁচায় রাখা হচ্ছে পর্যাপ্ত জল। পশুপাখিদের জন্য তরমুজের মতো রসালো এবং অন্য সবুজ ফলের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। ভালুক, শিম্পাঞ্জিদের শরীর ঠান্ডা রাখতে তাদের খাবারে দইয়ের পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে। শীতকালে বন্ধ ছিল দই। হুলক গিবনদের দেওয়া হচ্ছে কলা, সবজি, গাজর। ডিম সেদ্ধ খেতেও পছন্দ করে হুলক গিবন, জানালেন অধিকর্তা।অন্যদিকে খাওয়া দাওয়ার পাশাপাশি খাঁচার পরিবেশেও ধীরে ধীরে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। গরম কাটাতে চালানো হচ্ছে পাখা। জলাশয়গুলিতে যাতে ঠিকমতো জল থাকে সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। তৈরি রাখা হচ্ছে কুলার। খসখসের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। প্রয়োজন মাফিক দেওয়া হবে ওআরএস। প্রবল গরমে চিড়িয়াখানার পশুদের সুস্থ রাখতে গত বছরই খাঁচায় কুলারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তবে এখনও সেরকম গরম পড়েনি। আপাতত পাখা চালানো হচ্ছে। গরম বাড়লেই কুলার চালানো হবে। লাগিয়ে দেওয়া হবে খসখস। উল্লেখ্য, আলিপুর চিড়িয়াখানায় শিম্পাঞ্জিদের এনক্লোজারটি সম্প্রতি সংস্কার করা হয়েছে। আর তার পর থেকেই বড় জায়গা পেয়েছে শিম্পাঞ্জিরা। বাকি তিন শিম্পাঞ্জির সঙ্গে বাবুকে বেশ খোশমেজাজেই দেখা যায় সেখানে।‌ ‌
  • Link to this news (আজকাল)