• 'শীতলকুচি কাণ্ডে রাজ্যের এক বড় মাথার বিরুদ্ধে FIR', বিস্ফোরক দেবাশিস ধর! পাল্টা আক্রমণ মমতারও...
    ২৪ ঘন্টা | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • প্রসেনজিৎ মালাকার: শীতলকুচি কাণ্ডে রাজ্যের এক বড় মাথার বিরুদ্ধে এফআইআর আছে। সিবিআই তদন্ত হলে সেই রহস্য উন্মোচিত হবে। শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে বিস্ফোরক বীরভূম লোকসভার বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। বৃহস্পতিবার বীরভূমের দুবরাজপুর এলাকায় প্রচারে যান প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর। সেখানে প্রথমে পাহাড়েশ্বর মন্দিরে পুজো দেন বিজেপি প্রার্থী। তারপর ওই এলাকায় চায়ে-পে চর্চায় যোগদান করেন তিনি। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। আগামী লোকসভা ভোটে তাঁকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি। সেখানেই শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন,"আমার হাতে কোনও রক্ত নেই৷ সিআইডি ঘটনার তদন্ত করছে। আমি দোষী থাকলে কি এখানে থাকতে পারতাম।" তারপরই তাঁর সংযোজন, "শীতলকুচি কাণ্ডে রাজ্যের একটি বড় মাথার বিরুদ্ধে এফআইআর আছে। সিবিআই তদন্ত হলে সেই রহস্য উন্মোচিত হবে।" ওদিকে এদিনই কোচবিহারের মাথাভাঙার সভা থেকে নাম না করে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীকে আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তোপ দাগেন, "শীতলকুচিতে ৫ জনকে খুন করা হয়েছিল। শীতলকুচিতে গুলি চালিয়ে বীরভূমে ভোটে দাঁড়িয়েছে।"প্রসঙ্গত, কদিন আগেই বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়ের এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরকে আক্রমণ করে লেখা হয়, "২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে কোচবিহার জেলায় দায়িত্বে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কোচবিহার জেলায় শীতলকুচি কেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ৪ গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। তারপরই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল রাজ্য সরকারের তরফে। শীতলকুচি কাণ্ডের পর থেকেই রাজ্য পুলিসের গোয়েন্দা বিভাগ, সিআইডির আতস কাচের তলায় ছিল এই অফিসার। এই অফিসারের সম্পত্তিগত বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সিআইডি। দেবাশিস ধরের সম্পত্তির বিভিন্ন নথি সংগ্রহের কাজ শুরু করেন সিআইডি গোয়েন্দারা। সেখান থেকেই জানা যায়, ২০১৫-১৭ সালের মধ্যে কয়েকশো গুণ সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে ওই অফিসারের।" রাজ্য সরকারের দুর্নীতি নিয়ে এবার লোকসভা ভোটে সরব বিজেপি। ভোট প্রচারে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে মূলত দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেই ময়দানে নেমেছে গেরুয়া শিবির। সেখানে পদ্ম শিবিরের বীরভূম লোকসভার প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসারের বিরুদ্ধেই দুর্নীতির আঙুল তোলেন তৃণমূল প্রার্থী। যদিও পরে শতাব্দী রায় তাঁর এক্স হ্যান্ডেল হ্যাক করার অভিযোগ করেন। এই অভিযোগে পুলিস ও দলের দ্বারস্থ হন শতাব্দী রায়। দেবাশিস ধরকে নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করার প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি টুইট ব্যবহার করেন না। তাঁর এক্স হ্যান্ডেল হ্যাক করে এসব লেখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 
  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)