শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: চ্যালেঞ্জ নিয়েও কেন লড়লেন না ডায়মন্ড হারবারে? 'দলের উর্ধ্বে তো আমি নই', জি ২৪ ঘণ্টাকে বললেন নওশাদ সিদ্দিকি। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'মানুষকে যদি ভোটদানের সুযোগ দেয়, এখনও বলছি, তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা খুব খারাপ হবে। পিছন দিকে থাকবে তাঁরা। মাইনাসে চলবে'।
ঘটনাটি ঠিক কী? লোকসভা ভোটে ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো, তথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডায়মন্ড হারবার থেকে হারিয়ে, পরাজিত এমপি করে কালীঘাটে পাঠাব'। কিন্তু সুযোগ পেলেন না তিনি।আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের আরও ৫ আসন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল ISF। নওশাদ নন, ডায়মন্ড হারবার লড়ছেন মজনু লস্কর'। জি ২৪ ঘণ্টাকে ভাঙড়ের বিধায়ক বললেন, 'একাধিক বিষয় সামনে রেখেই দল আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে ওখান থেকে। অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছে, কোনওটাই ফেলনা নয়। অন্য়তম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেটা আমাকে বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় তৃণমূল বিজেপির বাইরে কংগ্রেস বলুন, সিপিএম বলুন, সংযুক্ত মোর্চা বলুন, কারও নেই। ISF-র সমর্থনে একমাত্র আমিই রয়েছি। এখন আমি যদি ওখানে যাই, তাহলে বিরোধীরা শূন্য় হয়ে যাবে, বিরোধীশূন্য। ওই পদ্ধতিতে বিরোধিতা....'নওশাদের কথায়, 'দলের মধ্যে এই গণতন্ত্রটা আমরা মেনে চলি। দলের মধ্য়ে যে কমিটি আছে, বুথস্তর থেকে রাজ্যস্তর পর্যন্ত, সর্বোচ্চ যে মতামতটা উঠে আসবে সেটাকে গ্রহণ করতে হবে। আমার ইচ্ছা বিপক্ষে গিয়েছে, আমাকে গ্রহণ করতে হবে। এবার যদি প্রশ্ন করেন, ভালো লাগছে না খারাপ লাগছে। অবশ্যই খারাপ লাগছে। আমারও তো একটা ইচ্ছা ছিল, লক্ষ্য ছিল যে, যেভাবে অন্যায় হয়, যেভাবে সমস্য়া তৈরি করে ওখানে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করব'।২০১৪-র পর ফের ২০১৯। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর দু'বার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার তিনিই তৃণমূল প্রার্থী। বলছেন, ২০২৪-এ ৪ লক্ষ ভোট জিতবেন। ভয় পেয়েই কি পিছু হঠলেন? নওশাদের জবাব, ভয়ের প্রশ্ন আসছে না। দলের যাঁরা নেতৃত্ব আছে, বেশিরভাগই জেল খেটেছে। মিথ্যায় মামলায় কোর্টে যেতে হচ্ছে। ভয়ের প্রশ্ন আসছে না। চার লাখের কথা বলছেন, ওরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী, মান্য়তা দেয়! পুরসভা ভোটের সময় কী অন্য়ায় করেছে! পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে কী অন্য়ায় করেছে! মানুষের সঙ্গে যদি ভোটদানের সুযোগ দেয়, এখনও বলছি, আমি প্রার্থী নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের অবস্থা খুব খারাপ হবে। পিছন দিকে থাকবে তাঁরা। মাইনাসে থাকবে'।