এই সময়: প্রচার থেকে ইস্তেহার—ভোট প্রচারে আশ্বাসের শেষ থাকে না। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলির অভিযোগ, পরিবেশ ব্রাত্যই থেকে যায় বছর বছর। পরিবেশ নিয়ে আশ্বাস নাই মিলুক, কিন্তু ভোটের জন্য পরিবেশের ক্ষতি কেন হবে, কেনই বা হবে দূষণ। এই প্রশ্ন তুলে প্রতিকারের আর্জি জানিয়ে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য আধিকারিককে চিঠি দিল স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সবুজ মঞ্চ। তাদের আর্জি, কমিশন এ ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করুক।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নব দত্ত যে চিঠি দিয়েছেন তাতে জানানো হয়েছে, ব্যানার, পোস্টার এবং অন্যান্য প্রচার সামগ্রীতে প্লাস্টিকের ব্যবহার যাতে না করে রাজনৈতিক দলগুলি, সে দিকে নজর দেওয়া হোক। শুধুমাত্র পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের অনুমোদন দেওয়া হোক। থার্মোকল বা এই রকমের কোনও দ্রব্য যেন ব্যবহার না করা হয় প্রচারে।২০১৬-র বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিতে জানানো হয়েছে, ১০০ জনের বেশি লোকের সমাবেশের ক্ষেত্রে, আয়োজকদেরই সভার পরে বর্জ্য সরিয়ে দিতে হবে। এই নিয়ম যেন মেনে চলা হয়। পাশাপাশি নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দলগুলিকে হোর্ডিং, ব্যানার ইত্যাদি খুলে ফেলার নির্দেশিকা জারি করুক কমিশন। রাজনৈতিক সভা-সমাবেশের ক্ষেত্রে লাউড স্পিকার, মাইক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ যেন মেনে চলা হয়।
শব্দসীমা যেন কোনও ভাবেই অনুমোদিত ডেসিবেলের বেশি না হয়, সে দিকেও কমিশন নজরদারি করুক। সাউন্ড লিমিটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হোক। নির্বাচনী প্রচারে কোনও গাছের ক্ষতি যেন না করা হয়। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ইত্যাদি লাগানোর জন্য গাছের ডাল কাটা বা গাছে পেরেক পোঁতার উপরে যেন কমিশন নিষেধাজ্ঞা জারি করে, চিঠিতে সেই আবেদনও জানানো হয়েছে।