Delhi-Dehradun Expressway: রাস্তা তৈরির জন্য ৭৫০০ গাছ বলি
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
এই সময়: সবুজ বাঁচানোর জন্য যখন বিশ্বজুড়ে এত শোরগোল, তৎপরতা, প্রচার — তখনই সামনে এল বৃক্ষ নিধনের চাঞ্চল্যকরা তথ্য। একটি আরটিআই-এর উত্তর থেকে জানা গেছে, দিল্লি-দোরাদুন এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করার জন্য কাটা হয়েছে সাড়ে ৭ হাজারেরও বেশি গাছ। নয়ডার সমাজকর্মী অমিত গুপ্তা এই আরটিআই করেছিলেন।ওই আরটিআই-এর উত্তরে ‘ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’ (NHAI) জানিয়েছে, দিল্লি-দেরাদুন এক্সপ্রেসওয়ের প্রায় ১৬ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের জন্যই এই বিপুল পরিমাণে গাছ কাটতে হয়েছে। এই সাড়ে ৭ হাজারের মধ্যে প্রায় ৫ হাজার গাছ উত্তরাখণ্ডের এবং প্রায় আড়াই হাজার গাছ উত্তরপ্রদেশের। গণেশপুর-দেরাদুন বিভাগে কাটা গাছগুলির মধ্যে ৪,৯৮৩টি উত্তরাখণ্ডের এবং ২,৫৯২টি উত্তরপ্রদেশের ছিল।
ওই সমাজকর্মী এই প্রশ্নও করেছিলেন যে, এই বিপুল সংখ্যায় পূর্ণবয়স্ক গাছ কাটার পরে তার প্রতিস্থাপন বিষয়ে কী ভাবনাচিন্তা করছে সরকার? তার উত্তরে জানানো হয়েছে, কেটে ফেলা ওই সাড়ে সাত হাজার গাছের বিকল্প হিসেবে ১ লক্ষ ৭৬ হাজারের বেশি নতুন গাছ লাগানো হবে। সেখানে এ-ও বলা হয়েছে, এই সড়ক বানানোর জন্য ১৫৫টি গাছকে পুনঃস্থাপন করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশে, তার মধ্যে ১২১টি বেঁচেছে। এ ছাড়াও, বিকল্প গাছ লাগানোর জন্য উত্তরপ্রদেশ ও উত্তরাখণ্ডের বনদপ্তরকে মোট ৩,৬০, ৬৯, ৭৮০ টাকা জাতীয় সড়র কর্তৃপক্ষ দিয়েছেন।
এ দিকে, দিল্লি এবং দেরাদুনের মধ্যে যাতায়াতের সময় বাঁচাতে যে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হচ্ছে সেটি আগামী বছর থেকে সাধারণের জন্য খুলে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই রাস্তা খুলে গেলে দিল্লি থেকে দেরাদুন যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা। তবে সড়ক তৈরি, সম্প্রসারণ, বসতি তৈরি — সব ক্ষেত্রেই সবার আগে কেটে ফেলা হয় গাছ। তা কখনও যোগাযোগ ব্যবস্থা ‘উন্নয়নের’ জন্য করে সরকার আবার কখনও জঙ্গলের আশেপাশে বেআইনি ভাবে গাছ কেটে ফেলেও চলে বসতি স্থাপন। খুব সামান্য ক্ষেত্রেই পরিবেশ বাঁচিয়ে উন্নয়ন করা হয়।
আগে সড়ক তৈরি বা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র লাগত। বর্তমানে তা লাগে ১৫০ কিলোমিটার বা তার বেশি অঞ্চলে রাস্তা তৈরি বা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে। তাই পরিবেশকর্মীরা বলছেন, এ সব চলতে থাকলে একদিন গোট দেশ মরুভূমি হয়ে যাবে। পরিবেশে আর কোনও ভারসাম্যই থাকবে না।