S. Jaishankar: ভারতের নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগ! সপাট জবাব জয়শংকরের
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
ভারতের লোকসভা নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগকে মোটেও ভালো চোখে নেয়নি ভারত। জবাব দিতে দেরিও করলেন না বিদেশমন্ত্রী।
ভারতের নির্বাচন নিয়ে পরোক্ষ সংশয় প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রসংঘ। ভারতের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে ভয়মুক্ত পরিবেশে হবে কিনা তা নিয়ে পরোক্ষ ভাবে সংশয় প্রকাশ করা হয়েছিল রাষ্ট্রসংঘের তরফে। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেসের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিচ জানিয়েছিলেন, 'আমরা আশা রাখছি ভারতের সবার অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।' এবার তাঁর সেই মন্তব্যের জবাব দিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। স্পষ্ট জানালেন, ভারতের নির্বাচন যেন সুষ্ঠু ও অবাধ হয় তা মনে করিয়ে দিতে হবে না রাষ্ট্রসংঘকে। ভারতের জনতাই তা নিশ্চিত করবে।
বিজেপি প্রার্থী রাজীব চন্দ্রশেখরের হয়ে এস জয়শংকর প্রচারে এসেছিলেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এই বিষয়ে তিনি প্রতিক্রিয়া জানান। ভারতের নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের উদ্বেগ প্রকাশের ইস্যুতে বিদেশমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়া উচিত তা মনে করিয়ে দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই রাষ্ট্রসংঘের। দেশের মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। দেশের জনগণই নিশ্চিত করবেন নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হবে। তাই বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের চিন্তা না করলেও চলবে।'
কী বলেছিলেন রাষ্ট্রসংঘের মুখপাত্র?
রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের মুখপাত্র স্টিফান ডুজারিচ একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন। তার মধ্যে যেমন ছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ারিলের গ্রেফতারির প্রসঙ্গ অন্যদিকে ছিল কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ, ভারতের নির্বাচন সংক্রান্ত মন্তব্যও। স্টিফান ডুজারিচের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি উদ্বেগ প্রকাশ করে জানানো হয়েছিল, তার আশা করে ভারতের নাগরিকদের রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত থাকবে। প্রত্যেকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ (Free and Fair) ভাবে ভোট দিতে পারে সেদিকে নজর রাখা জরুরি। এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন এস জয়শংকর। তিরুবনন্তপুরমে প্রচারে গিয়ে এই বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে বলেন, 'রাষ্ট্রসংঘের আমাদের মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই যে এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হয়। দেশের জনগণ আছেন। তাঁরাই এটাই নিশ্চিত করবেন নির্বাচন যেন অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়।' গত সপ্তাহের প্রেস বিজ্ঞাপত্রি সময় স্টিফান ডুজারিচের প্রশ্ন করা হয়েছিল ভারতের রাজনৈতিক চাপানউতোর নিয়ে। সেখানে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি ও কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট ফ্রিজের ঘটনা তুলে প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই প্রশ্নের ভিত্তিতেই এই উত্তর দেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে জার্মানি এবং আমেরিকা দুই দেশকেই জবাব দিয়েছে ভারত।