Kangana Ranaut : 'দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু!' দাবি BJP প্রার্থী কঙ্গনার
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। এমনটাই দাবি করতে শোনা গেল কঙ্গনা রানাউতকে। একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে অভিনেত্রী তথা BJP-র প্রার্থী বলেন, 'দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু।'হিমাচল প্রদেশের মাণ্ডি লোকসভা আসন থেকে কঙ্গনা রানাউতকে টিকিট দিয়েছে BJP। তারপর থেকেই খবরের শিরোনামে এই অভিনেত্রী-রাজনীতিবিদ। ইতিমধ্যেই তাঁর নানা মন্তব্য নিয়ে চর্চা চলছে। সম্প্রতি দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সুভাষচন্দ্র বসুর নাম নিয়ে ফের বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
কঙ্গনা রানাউতের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা শেয়ার করেছেন কংগ্রেস নেতা বিভি শ্রীনিবাস, আপের রাজ্যসভা সাংসদ স্বাতী মালিওয়াল। যেখানে একটি সংবাদমাধ্যমের অনুষ্ঠানে কঙ্গনাকে বলতে শোনা গিয়েছে, 'দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন কঙ্গনা রানাউত। আপনারাই বলুন তিনি কোথায় গেলেন?' কঙ্গনার এই ভিডিয়ো শেয়ার করে কটাক্ষের সুরে স্বাতী মালিওয়াল লেখেন, 'নিন আপনারা শিক্ষিত এবং যোগ্য প্রার্থীদের ভোট দিন।'
প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণা হওয়ার পর থেকে কঙ্গনা রানাউত বারবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, 'কংগ্রেসের অসুস্থ মানসিকতা। তাদের পারিবারিক পরিচয় সেটা প্রমাণ করে।' মাণ্ডি লোকসভা কেন্দ্রের সুন্দরনগরে একটি নির্বাচনী সভা থেকে তিনি বলেন, 'কংগ্রেস আসলে হজম করতে পারছে না, দেশের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দল আমায় টিকিট দিয়েছে। তাই আমার সম্পর্কে কটুক্তি করা শুরু করেছে।' তাঁর সংযোজন, 'ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষা পাওয়া এই ধরণের কংগ্রেস নেতাদের পারিবারিক পরিচয় বলে দিচ্ছে তাদের মানসিকতা কতটা অসুস্থ।' BJP-র প্রতি তাঁর সমর্থন দেখে অন্য দলগুলি তাঁকে ভয় দেখিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন কঙ্গনা। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে বলেও অভিযোগ মাণ্ডির BJP প্রার্থীর। কঙ্গনার কথায়, 'হিমাচল প্রদেশের মহিলারা অনেক সাহসী। আমি খুব দৃঢ় চিত্তে এই পরিস্থিতি সামলেছি। আগামী নির্বাচন ধর্ম যুদ্ধ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত শক্ত করতে হিমাচল সহ পাহাড়ের মেয়েরা ঢালাও ভোট দেবে BJP-কে।'
এখানেই শেষ নয়। BJP-র মাণ্ডি লোকসভা কেন্দ্রের এই প্রার্থীর বক্তব্য, '২০১৪ সালের পর ভারত প্রকৃত অর্থে স্বাধীন হয়েছে।'