মহিলাদের দিয়ে স্পা-পার্লারে পুরুষদের বডি ম্যাসাজ বন্ধ? কী বলল হাইকোর্ট?
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
রাস্তাঘাটে প্রায়শই চোখে পড়ে এমন এক বিজ্ঞাপন যেখানে লেখা 'সুন্দরী মহিলাদের বডি মেসেজ করানো হয়।' এই সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের হয়েছিল দিল্লি হাইকোর্টে।অন্য় লিঙ্গের কাউকে দিয়ে স্পা বা ম্যাসাজ পার্লার চালানোরকাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হোক এই আবেদন করে দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। তবে দিল্লি হাইকোর্ট সেই পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মনমোহন ও বিচারপতি মনপীত পিএস অরোরার বেঞ্চ জানিয়েছে বিষয়টিকে আগেই খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্টের একক বিচারপতির বেঞ্চ।
বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়ছে, যেহেতু একক বিচারপতির বেঞ্চ আগেই বন্ধ করে দিয়েছে এই বিতর্ককে, সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে এই জনস্বার্থ মামলা নিয়ে আর এগোতে চাইছে না আদালত। হাইকোর্টে আবেদনকারীর আর্জি ছিল স্পা ও ম্য়াসাজ সেন্টারের অডিও ও ভিডিয়ো রেকর্ডিং যেন নিয়মিতভাবে দিল্লির মহিলা কমিশনে জমা দেয়। আবেদনকারীর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, অন্য নারীদের নিয়ে পুরুষদের বডি ম্যাসাজ ও অন্য পুরুষদের নিয়ে মহিলাদের বডি ম্য়াসাজ করারি বিষয়টি ২০২১ সালের ১৮ অগাস্টের গাইডলাইনকে লঙ্ঘন করছে। সেক্ষেত্রে দেশের রাজধানীতে যাতে এই ব্যবস্থা না চলে সেই বিষয় নির্দেশ দিতে আর্জি জানানো হয়েছিল হাইকোর্টে।
আবেদনকারীর আইনজীবীর যুক্তি ছিল, ভেতর থেকে বন্ধ করা রুমে বডি ম্যাসাজ করা হচ্ছে। একাধিক নিয়ম ভঙ্গ হচ্ছে এর জেরে। এমনকী এর জেরে বেশ্য়াবৃত্তির সম্ভাবনাও রয়েছে। আইনজীবী জানান, এনিয়ে তিনি পুলিশের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছেন। করোলবাগ এলাকায় একাধিকবার পুলিশকে এনিয়ে ব্য়বস্থা নিতে আর্জি জানানো হয়েছে। কিন্তু একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ আবেদনকারীর।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে এই নিয়ে আদালতের একক বিচারপতির বেঞ্চ একটি নির্দেশিকা জারি করেছিল। সেখানে বলা হয়েছিল শহরের মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন ও দিল্লি পুলিশকে খতিয়ে দেখতে হবে গোটা বিষয়টি। প্রয়োজনে পদক্ষেপের কথাও বলা হয়েছিল। উপযুক্ত লাইসেন্স ছাড়া যাতে কোনও স্পা বা ম্য়াসাজ পার্লার না চলতে পারে তা দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেবার আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব লাইসেন্সযুক্ত ঘুরে দেখতে হবে পুলিশ। কোথাও যদি অবৈধ কিছু হচ্ছে বলে চিহ্নিত করা যায় তবে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে এবার বিষয়টি নিয়ে বিচারপতিদের বেঞ্চ জানিয়েছে, যেহেতু একক বিচারপতির বেঞ্চ আগেই এই বিষয়ে বিতর্ক বন্ধ করে দিয়েছে সেক্ষেত্রে আদালত এই জনস্বার্থ মামলা নিয়ে আর এগোতে চাইছে না বলে স্পষ্ট করা হয়েছে।