• Lok Sabha Election 2024: চা-সিঙাড়া থেকে প্রচার-সভা, নিক্তিতে হিসাব বুঝবে কমিশন! কোন খাতে কত খরচ?
    এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। ১৯ এপ্রিল থেকে সেই মহাপরীক্ষার শুরু। রাজনৈতিক দলগুলির ভাগ্যপরীক্ষার পালা। কার ভাগ্য খুলল আর কার ভাগ্য খুলল না তা নির্ধারণ হবে ৪ জুন। লোকসভা নির্বাচন মানেই খরচের বহর। তবে নির্বাচনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রার্থীদের খরচও ঠিক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। একজন প্রার্থী সর্বাধিক ৯৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারেন।কোন কোন ক্ষেত্রে খরচের অনুমতি রয়েছে প্রার্থী?

    চা, পানীয় থেকে শুরু মিটিং, মিছিল, সমাবেশ, বিজ্ঞাপন, পোস্টার-ব্যানারসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের খরচ এর মধ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এক কাপ সাধারণ চা ও কফির জন্য় বেঁধে দেওয়া হয়েছে ৬টাকা, স্টাফ ব্রেড পকোড়া, সিঙাড়া জন্য ৬টাকা, ছোলে বাটুরে, আলু পুরী, রাজমা-ভাত এবং কাড়ি-ভাতের জন্য ৩৭ টাকা খরচ করতে পারেন প্রার্থী।

    সব মিলিয়ে একজন প্রার্থী নির্বাচনে ৯৫ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন

    ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময়, দিল্লিতে প্রার্থীদের ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ৪০ লাখ টাকা। তবে এবার নির্বাচন কমিশন ব্যয়ের সীমা দ্বিগুণ বাড়িয়েছে। তবে ৯৫ লাখ টাকা খরচের অনুমতি পাবেন শুধুমাত্র দিল্লির মতো কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রার্থীরা। এছাড়া জম্মু ও কাশ্মীরেও একই পরিমাণ ব্যয়ের সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে কমিশনের তরফে। এছাড়া অন্য কোনও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ব্যয়ের সর্বোচ্চ সীমা নেই। এই ব্যয়ের মধ্যে থাকবে বিজ্ঞাপন, গাড়ি ভাড়া, আসবাবপত্র, ফুলের মালা ও খাদ্যসামগ্রীর ব্যয়। মনোনয়নের পর প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় রেকর্ডে আনা হবে। নির্বাচন কমিশন প্রতিটি জেলার জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে (ডিইও) নির্দিষ্ট শহরের মূল্য়স্ফীতির ভিত্তিতে প্রতিটি জিনিসের দামের হার নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে।

    কোন জিনিসে কেমন খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে?

    ডিইও প্রতিটি জিনিস পিছু কত টাকা খরচ করা যেতে পারে তাঁর একটি সীমা বেঁধে দিয়েছেন। উত্তর জেলার ছোট ফুলের মালার দর ধরা হয়েছে ২৫ টাকা, ১০ ফুট বড় ফুলের দাম ধরা হয়েছে ১৮৪৫ টাকা, প্রতি পিস প্রিন্টেড কলমের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ৬ টাকা, হাত ঘড়ির দাম ধরা হয়েছে ৩০৭ টাকা। সব জিনিসই যদি কোনও প্রার্থী প্রচারের সময় ব্যবহার করেন তবে তা প্রার্থীদের খরচের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রার্থীর যদি একটি সভার আয়োজন করেন তবে একটি চেয়ার মূল্য ১০টাকা ধরা হবে। টেবিল চার্জ ধরা হয়েছে ২৫ টাকা। সভা-সমাবেশের জন্য মঞ্চ তৈরির জন্য প্রতি বর্গমিটারে ১২ টাকা এবং কার্পেট বা পাটি বিছানোর জন্য ৩ টাকা/বর্গমিটার খরচ হতে পারে বলে ধরা হয়েছে।

    প্রচার মঞ্চ তৈরিতে সবচেয়ে বেশি খরচ

    প্রচার মঞ্চ নির্মাণ খাতে সবচেয়ে বেশি টাকা খরচ হবে প্রার্থীর। সেই অনুযায়ী রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। যদি ২ হাজার লোকের সমাবেশের জন্য একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়, তবে তার নির্বাচনী ব্যয় প্রতিদিন ৩০,৭৫০ টাকা ব্যয়ের অন্তর্ভুক্ত হবে। যদি একজন প্রার্থী একটি ইভেন্টে ৫৬০ কিলোওয়াট ক্ষমতার একটি জেনারেটর সেট ইনস্টল করেন, তাহলে তাঁর একদিনের খরচ ১২,৩০০ টাকা হিসাবে গণনা করা হবে।
  • Link to this news (এই সময়)