আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিল্লিতে যুবক হত্যাকাণ্ডের কিনারা করল পুলিশ। খুনের অভিযোগে মৃত যুবক শচীন কুমারের প্রাক্তন সহকর্মী হাসিব খান ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।তদন্তে জানা গেছে, মৃত যুবক শচীন কুমারকে ২ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন অভিযুক্ত হাসিব। কিন্তু সেই টাকা সে ফেরত দেয়নি। যদিও শচীনের এক ভাই জানিয়েছেন, এক লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছিল। বাকি টাকার জন্য ক্রমাগত ফোনে হুমকি দিচ্ছিল হাসিব। তদন্তে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে, হাসিবের স্ত্রীর সঙ্গে শচীনের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। তার জেরেই এই খুন বলে পুলিশের অনুমান।প্রসঙ্গত, দিল্লির কনট প্লেসের একটি রেস্তরাঁয় ওয়েটারের কাজ করতেন ২২ বছরের যুবক শচীন। অন্যদিকে ৩১ বছরের হাসিব খানের দক্ষিণ দিল্লির সঙ্গম বিহারে একটি জামা–কাপড়ের দোকান রয়েছে। গত রবিবার থেকে কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না শচীনের। তাঁর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শচীনের ফোনের কল ডিটেলস থেকে জানা যায়, তাঁর শেষ লোকেশন ছিল সঙ্গম বিহার। এরপরই খোঁজ করতে করতে হাসিবের বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। জানা গেছে এক বছর আগে শচীন ও হাসিব একটি কারখানায় একসঙ্গে কাজ করত। তদন্তে টাকা ফেরত নিয়ে গন্ডগোল ছাড়াও উঠে আসে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কথা। অভিযুক্তরা জানিয়েছে, শচীনকে ফোন করে বাড়িতে ডাকা হয়েছিল। এরপর তাঁকে ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়। দেহ গাড়িতে করে দাসনার একটি জঙ্গলে ফেলে আসে অভিযুক্তরা।