• যাদবপুরে বামেদের দেওয়াল লিখনে কালির ছিটে! 'ভয় পেয়েছে', হুংকার সৃজনের
    এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • যাদবপুর কেন্দ্রে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তবে রাজনৈতিক লড়াইয়ের মধ্যেও সৌজন্যের নজির দেখেছে এই কেন্দ্র। বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যকে প্রচারে দেখে এগিয়ে গিয়ে সৌজন্য বিনিময় করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ।কিন্তু, এবার সেই যাদবপুর কেন্দ্রেই বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের দেওয়াল লিখনে রাতের অন্ধকারে কালি ছেটানোর অভিযোগ উঠল। কোথাও আবার মুছে দেওয়াল লিখন। অভিযোগ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল এমন ছবি। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের দিকে। যদিও তৃণমূল এই দাবি অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের বক্তব্য, ওই ওয়ার্ডে বামেদের দেওয়াল লিখতে দিতে চাইছেন না বাড়ির মালিকরাই। তাঁরা উন্নয়নের জোয়ারে গা ভাসাতে চায়ছেন।

    এলাকার বামকর্মী কৃশানু বিশ্বাস দাবি করেছেন, 'আমরা যে দেওয়ালগুলি লিখেছি রাতের অন্ধকারে সেই দেওয়ালগুলিতে কালি ছিটিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল। ওদের কর্মীরা খারাপ ব্যবহার করছে।' অন্যদিকে, যাদবপুর কেন্দ্রের বাম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, 'ওরা যা করছে তাতে প্রমাণিত যে লালঝাণ্ডার শক্তি বাড়ছে, সৃজনকে ভয় পাচ্ছে। ভয় পেয়ে দেওয়াল লেখা মুছে দিতে হচ্ছে। মানুষের কাছে পৌঁছনোর জন্য যা যা করার করব। এই সমস্তকিছু মানুষ দেখছে। নিজেদের কবর ওরা নিজেরাই খুঁড়ছে।'

    যদিও এই যাবতীয় দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিলন সরকার। তিনি বলেন, 'এই ধরনের মিথ্যা অভিযোগ। মনে রাখতে হবে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে মানুষকে ব্যাপক পরিষেবা দেয়। মানুষ তাই মা মাটি মানুষ-এর দলকে প্রাধান্য দেয়। তাদের দেওয়াল তারা যদি লিখতে না দেন তাহলে আমাদের কী করার রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মোতাবেক, যার দেওয়াল তাঁর অনুমতি নিয়ে দেওয়াল লিখন করতে হবে। মানুষ যদি সিপিএমকে বর্জন করে থাকে তাতে আমরা কী করতে পারি! মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের নাম লিখতে দিতে চাইছে। বামেদের যদি বাড়ি মালিক নাম লিখতে না দেয় তার দায়িত্ব আমাদের নয়।'

    সবমিলিয়ে যাদবপুর কেন্দ্রে বামেদের দেওয়াল লিখনে কালি লেপা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, যাদবপুর কেন্দ্রে এবার বিদায়ী সাংসদ মিমি চক্রবর্তীর বদলে তৃণমূল প্রার্থী করেছে ‘এলাকার মেয়ে’ সায়নী ঘোষকে। তিনি যুব তৃণমূলের দায়িত্ব। পাশাপাশি যাদবপুরের মতো কেন্দ্র থেকে তাঁকে লড়াই করার দায়িত্ব দিয়েছে দল। স্বাভাবিকভাবেই এই কেন্দ্রে শেষ হাসি কে হাসবেন? সেই দিকে সব নজর।
  • Link to this news (এই সময়)