করোনাভাইরাস নাম শুনলেই এখনও আতঙ্ক গ্রাস করে সকলের মনে। এই রোগের বিভীষিকাময় স্মৃতি এখনও তাজা। অসংখ্য মানুষ এই রোগে তাঁদের প্রিয়জনকে হারিয়েছেন। এবার কোভিডের থেকেও বেশি ভয়াবহ মহামারীর আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে বার্ড ফ্লু আক্রান্তের সংখ্যা। যা চিন্তায় ফেলেছে বিজ্ঞানীদের। বিশেষজ্ঞরা সতর্কবার্তায় জানিয়েছেন, করোনার থেকে ১০০ গুণ বেশি ভয়াবহ হতে পারে এই বার্ড ফ্লু মহামারী। একটি গবেষণা রিপোর্টে বৈজ্ঞানিকদের দাবি, H5N1 ভাইরাস ক্রমশ ভয়ংকর আকার ধারণ করছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এটি ক্রমশ মহামারী আকার ধারণ করবে।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার একট রিপোর্ট মোতাবেক, 'বার্ড ফ্লু ভাইরাস করোনা মহামারীর থেকেও ভয়ংকর আকার ধারণ করতে পারে। কোভিডের থেকে ১০০ গুণ বেশি ভয়াবহতা ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। মৃত্যুর পরিসংখ্যানও কোভিডের থেকে অনেকটাই বেশি হতে পারে। তবে এটি একবার পশুপাখি থেকে মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে শুরু করলে তা দ্রুত হারে ছড়িয়ে পাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যেহেতু এই বার্ড ফ্লু মুরগিদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তাই মুরগির মাংসপ্রেমীদের আশঙ্কা বাড়ছে। তবে কি এবার মুরগির মাংস খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে? বিভ্রান্তি শুরু হলেও এই নিয়ে কোনও বিশেষজ্ঞ কিংবা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এখনও পর্যন্ত বিবৃতি দেয়নি।
বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তাপিটসবার্গে একজন বার্ড ফ্লু গবেষক ডা. সুরেশ কুচিপুড়ি সতর্কবাণী দিয়েছেন, H5N1 ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। এটি স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরেই মূলত হামলা করে। ফলে মানুষের মধ্যে ছড়াবে না এমন ভাবার কারণ নেই।' কানাডার ফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা বায়োনিয়াগ্রার প্রতিষ্ঠাতা জন ফ্লুটনও এই ভাইরাস নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, 'H5N1 কোভিডের থেকে ১০০ গুণ বেশি ভয়ানক আকার ধারণ করতে পারে। মানুষের মধ্যে ভাইরাস ছড়াতে শুরু করলে অসংখ্য প্রাণহানি হবে।'
এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত কত?বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ২০০৩ সালের পর H5N1 বার্ড ফ্লুয়ে আক্রান্ত প্রত্যেক ১০০ জনের মধ্যে ৫২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৮৮৭টি মামলায় ৪৬২টি মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার বর্তমানে ০.১ শতাংশে এসে ঠেকেছে। সে ক্ষেত্রে মহামারীর শুরুতেই তা ছিল ২০ শতাংশ মৃত্যুর হার বার্ড ফ্লু ভাইরাসে। ২০২০ সালের পর পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, H5N1-এর নয়া স্ট্রেনে সংক্রমিত প্রায় ৩০ শতাংশ ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত।