ইংরেজিতে তুখোড়। শব্দ নিয়ে জাগলারিতে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। এবারের লোকসভা নির্বাচনেও হেভিওয়েট প্রার্থীদের তালিকায় উপরের সারিতেই থাকবেন শশী থারুর। কেরালার তিরুঅনন্তপুরম কেন্দ্র থেকে ২০২৪ সালের কংগ্রেস প্রার্থী তিনি। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে জমা করেছেন তাঁর মনোনয়ন পত্র। হলফনামায় উল্লেখ করা তাঁর শিক্ষাগত যোগ্যতা যথেষ্ট ঈর্ষনীয়।শশী থারুরের স্কুলজীবন শুরু হয়েছিল কলকাতায়। বিখ্যাত সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজিয়েট হাই স্কুলের ছাত্র ছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে পাশ করেন এই স্কুল থেকে। এরপর পাড়ি দেন দিল্লিতে। ১৯৭৫ সালে ইতিহাসে স্নাতক হন দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে। উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি চলে যান আমেরিকায়। ১৯৭৬ সালে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতকোত্তর পাশ করেন সে দেশের ফ্লেচার স্কুল অফ ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসি থেকে। ১৯৭৭ সালে এই কলেজ থেকেই স্নাতকোত্তর পাশ করেন ল অ্যান্ড ডিপ্লোমেসিতে। ১৯৭৮ সালে এই বিষয়েই তিনি পিএইচডি করেন। এরপর ২০০০ সালে শশী থারুর আমেরিকার পাজেট সাউন্ড থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে ডক্টরেট করেন। ২০০৮ সালে ফের একটি ডক্টরেট করেন রোমানিয়ার বুচারেস্ট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
শশী থারুরের হলফনামা
শশী থারুর একবার নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেছিলেন স্কুলের মার্কশিট। কলকাতায় সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের সেকশন বি-র ছাত্র শশীকে দেওয়া হয়েছে জেনারেল প্রোএফিশিয়েন্সিতে প্রথম পুরস্কার। মরাল সায়েন্সে ৪০০-এ ৩৩৪, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজে ৮০০-এ ৬১৪, ইংরেজি সাহিত্যে ৪০০-এ ৩৩৮, ইতিহাসে ৪০০-এ ২৩৮, কমার্শিয়াল স্টাডিজে ৬০০-এ ৪৫০, জেনারেল সায়েন্সে ৪০০-এ ৩৩৩ এবং ইলোকিউশনে ২৪৮। শশীর কথায়, 'ছেলেবেলায় পরীক্ষা দিতে আমি বেশ ভালোবাসতাম।'
প্রসঙ্গত, এই কংগ্রেস প্রার্থীর জন্ম হয় লন্ডনে। তবে বেড়ে ওঠা ভারতে। আন্তর্জাতিক সিভিল সার্ভিস, কূটনীতি, রাজনীতি এবং লেখণীতে খুরধার মস্তিষ্ক শশী থারুরের। ২০০৯ সাল থেকে কেরালার তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদ তিনি। তাঁকে অনুগামীরা অনেকেই 'চলতা ফিরতা অক্সফোর্ড ডিকশনারি' বলে থাকেন। গড়গড় করে অনরগড় বলে চলা দাঁত ভাঙা ইংরেজি শব্দ তিনি কোথায় শিখেছেন, তা জানতে আগ্রহী অনেকেই। নিজেই এ রহস্যের খোলসা করেছিলেন একবার। থারুরের কথায়, 'আমি পড়তে পড়তেই এমন ইংরেজি শিখেছি। ৫০ বছর আগেকার কথা, তখন আমি সেন্ট স্টিফেন কলেজে পড়তাম। সেখানে সকলেই ভালো ইংরেজিতে কথা বলতেন। এখন রাজনৈতিক বিতর্কসভায় যে ধরণের শব্দ ব্যবহার করে আমি চর্চিত হই, এই ইংরেজি তো আমি কলেজ ডিবেটেও বলতাম। নতুন তো কিছু নয়। অবাক হওয়ারও কোনও কারণ নেই।'