• রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের জবাব, ৯ পাতার চিঠি দিল রাজ্য
    আজকাল | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্য এবং রাজ্যপালের সঙ্ঘাতের নতুন মোড়। রাজভবনের রিপোর্ট কার্ডের জবাবে ৯ পাতার জবাবী চিঠি। তাতে প্রতি লাইনে বোঝানো হল রাজ্যপালের এক্তিয়ার। ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। রাজ্য সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চাইছে, এই অভিযোগ সহ উপাচার্য ইস্যুর কথা সঙ্গেই জানানো হয়েছিল আচার্যের ক্ষমতার কথা। রিপোর্ট কার্ডে এ প্রসঙ্গে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আদেশের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। বুধের পর শুক্রবারে এবার জবাবী চিঠি দিল রাজ্য। সূত্রের খবর ৯ পাতার চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে উপাচার্য নিয়োগ সহ একগুচ্ছ বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। একাধিক প্রসঙ্গ উত্থাপন করে, রাজ্যপালের এক্তিয়ার বিষয়ে সাফ বার্তা দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা না করে রাজ্যপালের উপাচার্য নিয়োগ নিয়েও বার্তা দেওয়া হয়েছে চিঠিতে।উল্লেখ্য রিপোর্ট কার্ড এবং তার জবাবের মাঝেই বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রী এবং রাজ্যপালের দ্বন্দ্বের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।  রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণের সুপারিশ করছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার পাল্টা জবাব বৃহস্পতিবারেই খোদ শিক্ষামন্ত্রী দিয়েছেন। তাঁর মতে রাজ্যপালের সুপারিশ "হাস্যকর"। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার রাজভবন থেকে নবান্ন পৌঁছয় ওই সুপারিশ। তাতে রাজ্যের রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ভোট আবহে আদর্শ আচরণ বিধি ভঙ্গ করেছেন। আর সেই কারণেই তাঁকে সরানোর জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে সমাজমধ্যাম গোটা বিষয়টিকে হাস্যকর বলেছেন ব্রাত্য বসু। তাঁর মতে, "দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে আমি যদি রাজ্যপালকে সরানোর সুপারিশ করতাম, সেক্ষেত্রে বিষয়টা যতটা হাস্যকর হয়, এক্ষেত্রেও তাই।" সঙ্গেই বলেন, তিনি কোনও নির্বাচনী বিধি ভেঙে থাকলে যে কোনও রাজনৈতিক দলের সেটি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনার অধিকার রয়েছে। কিন্তু এই অভিযোগ সামনে এনে রাজ্যপাল নিজের সাংবিধানিক পদের অপব্যবহার করছেন, এবং নিজের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ্যে আনছেন। একই সঙ্গে পোস্টে ব্রাত্য জানিয়েছেন, " ভারতের সংবিধান অনুযায়ী কোনও রাজ্যের মন্ত্রীকে নিয়োগ বা অপসারণের সুপারিশ করতে পারেন একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী। " রাজ্যপাল নিজের সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলেও সুর চড়ান ব্রাত্য।
  • Link to this news (আজকাল)