• 'আমি মুখ্যমন্ত্রীকেই ফলো করি', দিলীপের মুখে এ কী কথা?
    আজ তক | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করেই চলেছেন। নির্বাচন কমিশনও সতর্ক করেছে। কিন্তু দিলীপ আছেন দিলীপেই। বিতর্কিত মন্তব্য নিয়ে অবস্থান বদল করছেন না বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী। শুক্রবার দিলীপ বলেন,'যারা কলকাতার বাইরে যায় না, তারা রাজনীতির কি বোঝে? যারা বলছে তারা একটু বাইরে বেরিয়ে দেখুক। রোদে এমন চেহারা হবে বাড়ির বউ চিনতে পারবে না'। 

    প্রচারে আসার জন্যই কি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করেন? বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির জবাব,'মুখ্যমন্ত্রী যেটা বলেছেন, আমি তো ওঁকে ফলো করি। সংস্কৃতে একটা কথা আছে মহাজন যেনো গতস্য পন্থা। উনি নিজে, ওনার পার্টির নেতা, মন্ত্রী, আগে যারা নেতা ছিল, তাদের কমেন্ট গুলো শুনুন। বাংলায় এটাই ট্রেন্ড। এটাই লোকে সহজে বোঝে। ওনারা যে এগুলো হজম করতে পারবেন না, ওদের যে হজম শক্তি এতো কম, এটা আমি জানতাম না'। তাঁর সংযোজন,'অনেকে সারা বছর স্টেটমেন্ট দেয়। আমি একবার দিলে তাদের বরাবর হয়ে যায়। আমি প্রেস মিট করিনা, আমি ডিবেট শো-তে যাই না। দিলীপ ঘোষ কী রাজনীতি করে এটা বাংলার মানুষ জানে। ওরাও আসুক। দেখা যাবে কাকে দেখতে লোক বেরোয়'। 

    ডায়মন্ড হারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী হননি নওশাদ সিদ্দিকী। এনিয়ে দিলীপের কটাক্ষ,'এই সব সেটিং। শুধু ডায়লগ। লোকে এখন এদিক ওদিক তাকাচ্ছে না। গো স্ট্রেট, গো ফর বিজেপি'।

    গতকাল, বৃহস্পতিবার কোচবিহারের সভায় মমতা বলেন,'উনি তো এটাও বলেছেন যে সব জায়গায় উনিই মুখ। ওঁর মুখ মানে তো সন্দেশখালি। কেউ তো মুখ দেখতে চায় না। তাই ব্যান্ডেজ বেঁধে এদিক-সেদিক ঘুরতে হয়। আমিও চলাসার ছবি দেখে চিনতে পারছি না। এটা পুরনো ছবি না নতুন ছবি! উনিও বুঝেছেন ছবি পাল্টাতে হবে। এই ছবি দিয়ে আর চলছে না। দেখা যাক ভোটের আগে আর কী কী হয়!'

    অভিন্ন দেওয়ানি বিধি নিয়ে আপত্তি করেছেন মমতা। শুক্রবার এনিয়েও প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন দিলীপ। তাঁর বক্তব্য,'উনি বলেছিলেন জিএসটি করতে দেব না। শেষে মেনে নিলেন। দেখলেন লাভ পাচ্ছেন। উনি বলেছিলেন সিএএ করতে দেব না। এরকম উনি বলেন। ওঁর  সরকারটাই ভালো করে চালাতে পারেন না। মানুষও আজকাল ওঁর কথা সিরিয়াসলি নেয় না। গ্যারান্টি মোদী দেবেন। মোদীর গ্যারান্টি এখন দেশে চলছে'।

    রাজ্যপাল বোস বনাম ব্রাত্য বসু নিয়েও মন্তব্য করেছেন দিলীপ। তাঁর কথায়,'মজার ব্যাপার, এরা রাজ্যপালকে আর কমিশনকে গালাগাল দেবে। ওগুলো নাকি বিজেপি অফিস! আবার ঠেলায় পড়লে সকাল-বিকেল এরা কাকা বা মেসোর বাড়ি দৌড়বে। রাজ্যপালের সঙ্গে ভাব করলেন। অ আ ক খ শেখালেন... তারপর আবার সেটা মাটি হয়ে গেল। আবার সেটিং করলেন। গিয়ে চা খেলেন। আবার কী হল? আসলে আপনারা এমন লোক যে আপনাদের সঙ্গে কোনো ভদ্রলোক বেশিদিন থাকতে পারেনা। রোজ ঝগড়া হবে। আবার ঠেলায় পড়লে দৌড়বেন। এটাই দেখে আসছি আমরা'।
  • Link to this news (আজ তক)