'বুথের বাইরে বিজেপির বাহিনী', ভোটে সন্ত্রাসের আশঙ্কা তৃণমূলের
২৪ ঘন্টা | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
মৃত্যুঞ্জয় দাস: বুথে থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর বুথের বাইরে থাকবে বিজেপির বাহিনী এমনই বার্তা বিজেপির বিধায়কের। ভোটে সন্ত্রাস করতেই বিজেপির এই পরিকল্পনা পালটা দাবি তৃণমূলের।বুথের পাহারায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর বুথের বাইরে থাকবে বিজেপির বাহিনী দলের নেতা কর্মীদের এমন বার্তা দিলেন বিজেপি বিধায়ক। বিজেপি বিধায়কের এই বার্তা প্রমান করছে ভোটে তারা সন্ত্রাস করতে চলেছে এমনই প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল।
ফের হুঁশিয়ারির সুর ওন্দার বিজেপি বিধায়ক তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমর নাথ শাখার। বেফাঁস মন্তব্য, বিতর্কিত মন্তব্য বিরোধীদের কুরুচিকর কথা বলে বারে বারে শিরোনামে এসেছেন ওন্দার বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ শাখা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুর লোকসভার ওন্দা বিধানসভার দুবড়াকোনে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে পথ সভায় বিজেপির বিধায়ক দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অমর নাথ শাখা বলেন, ‘ভোটের সময় বুথের পাহারায় থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী আর বুথের বাইরে থাকবে বিজেপির বাহিনী’।বিজেপির এই বাহিনী তৃণমূলের ভোট লুট ভোট সন্ত্রাস আটকাবে বলে বক্তব্যের সমর্থনে এমন দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক অমর নাথ শাখা।বিজেপির বিধায়কের এই মন্তব্য আসলে ভোট সন্ত্রাসের বার্তা বলে প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানালেন বিষ্ণুপুরের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল।কখনও নিজের কাঁধে ঢাক তুলে ঢাক বাজিয়ে, কখনও নকুল দানা-গুড়, বাতাসা বিলি করে,আবার কখনও ত্রিশূল হাতে তুলে, মন্দিরে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি প্রচার করলেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল। এদিন বাঁকুড়ার এক্তেশ্বর মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়ার সময় কাঁধে ঢাক তুলে চড়াম চড়াম করে বাজিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মন্ডল। মন্দিরের ভিতর পুজো দেওয়ার সময় নিজের হাতে ত্রিশূল তুলে নেন সুজাতা। পুজো শেষে নকুলদানা ও গুড়-বাতাসাও বিলি করেন সুজাতা। নাম না করে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে এদিন ফের 'অসুর' বলে কটাক্ষ করেন সুজাতা। বলেন, বিরোধী নামক 'অসুর'কে বধ করতেই হাতে ত্রিশূল তুলে নেন তিনি।বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কোতুলপুর ব্লকের বিভিন্ন প্রান্তে ভোট প্রচার করেন সৌমিত্র খাঁ। রোদের হাত থেকে একটু স্বস্তি পেতে কখনও তাঁকে দেখা যায় ডাবের জল খেতে, কখনও ঠান্ডা জলে হাত মুখ ধুয়ে ভোট প্রচার করতে। কখনও কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে আইসক্রিমও খেলেন। আবার কখনও স্থানীয় অনুষ্ঠানে খিচুড়ি রান্না করতেও দেখা যায় সৌমিত্র খাঁকে। এমনকি কোতুলপুর ব্লকের জোলিঠাতে একটি ক্লাবে এলাকার যুবকদের সঙ্গে ক্যারমবোর্ড খেলতেও দেখা যায় সৌমিত্র খাঁকে। সৌমিত্র খাঁ বলেন, আমি খেলোয়াড় ছিলাম। আজও খেলোয়াড় আছি। খেলতে ভালোবাসি। এখন জনগণের জন্য খেলছি। এক সময় ক্রিকেট, ফুটবল, ক্লাব ব্যাডমিন্টন সবই খেলতাম। তিনি আরও বলেন, এই রোদে একজন শ্রমিক যদি মাঠে নেমে কাজ করতে পারেন, তবে নেতাদেরও একইভাবে রাস্তায় থাকা উচিত।