সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে নয়া মোড়!
২৪ ঘন্টা | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে এবার নয়া মোড়। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের। দুর্নীতি, হিংসা ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে রাজনৈতিক উদ্দেশে ও ভোটের কারণে অপব্যবহারের ইস্যুতে তদন্তের নির্দেশ। সুপ্রিমকোর্ট বা হাইকোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে এই তদন্ত হবে বলে খবর রাজভবন সূত্রে। একজনেরই কমিশন গঠন করে এই তদন্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের রিপোর্ট কার্ডের কড়া উত্তর দিয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকার তোপ দেগেছে, রাজ্যপাল তার রিপোর্ট কার্ডে রাজ্য সরকারের ক্ষমতাকে ছোট করে দেখার চেষ্টা করেছেন। আইনের বাইরে গিয়ে এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করতে চাইছেন রাজ্যপাল। তিনি নিজে যা ভালো মনে করছেন, সেটাই করছেন। তিনি আদালতের নির্দেশও উপেক্ষা করছেন। এমনকি গোটা বিষয়টা মধ্যস্থতার মাধ্যমে সমাধান করার ক্ষেত্রে তার ব্যর্থতা রয়েছে। রাজ্যপাল যে ভূমিকা নিচ্ছেন, তা শুধুমাত্র যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে তা নয়, পড়ুয়াদেরও সমস্যার মুখে ফেলছে। বাংলার ইতিহাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনার ক্ষেত্রে কোনও রাজ্যপালই এমন আচার্যের ভূমিকা নেননি যা এই রাজ্যপাল নিচ্ছেন। উত্তরে লিখেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জাতীয় স্তরের সমীক্ষায় ওপরের দিকে র্যাঙ্ক করেছে। এক্ষেত্রে সেখানে যদি কোনও অবনমন ঘটে, তবে তার জন্য দায়ি থাকবেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, মাত্র ৮ মাসের ব্যবধানে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অপসারণ করেছেন রাজ্যপাল। গত বছরের অগাস্টে রজতকিশোর দে-কে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের পদে নিয়োগ করেছিলেন রাজ্যপাল আচার্য সিভি আনন্দ বোসই। কিন্তু হঠাৎ-ই রবিবার রাজ্যপালের তরফে রজতকিশোরকে অপসারণের চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীকে অপসারণেরও সুপারিশ করেছেন রাজ্যপাল। যার পরই নতুন করে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতে শিক্ষামন্ত্রী!