ভোটের মুখে কমিশনের বড় সিদ্ধান্ত, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদে নিয়োগ IAS দিব্যেন্দু দাসের
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দুই আধিকারিককে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সোমবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক অমিত রায় চৌধুরী এবং জয়েন্ট সিইও রাহুল নাথকে তাঁদের দায়িত্ব থেকে সরানো হতে চলেছে।এদিকে এবার অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে নিযুক্ত করা হল দিব্যেন্দু দাসকে। এর আগে তিনি পরিবহণ দফতরের ডিরেক্টর পদে আসীন ছিলেন। অন্যদিকে, অমিত রায় চৌধুরীকে অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের পদ থেকে সরিয়ে খাদ্য দফতরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘ সময় দায়িত্বে আসীন থাকা সিনিয়র আধিকারিকদের দায়িত্ব থেকে সরানোর জন্য রাজ্যের থেকে আধিকারিকদের একটি তালিকা চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সূত্রের খবর, গত দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক পদের দায়িত্বে রয়েছেন অমিত রায়চৌধুরী। অন্যদিকে, রাহুল নাথ জয়েন্ট সিইও পদের দায়িত্ব সামলেছিলেন প্রায় ছয় বছর ধরে। সূত্রের খবর, দীর্ঘ সময় তাঁরা এই পদগুলির দায়িত্ব সামলানোর কারণে তাঁদের সরানোর চিন্তাভাবনা।
নির্বাচনের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হওয়ার আগে এবং পরে রাজ্যে প্রশাসনিক স্তরে একাধিক রদবদল হয়েছিল। এর আগে কমিশন ১৮ মার্চ রাজীব কুমারকে রাজ্য পুলিশের ডিজি পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল। এরপর প্রথমে বিবেক সহায়কে সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর ১৯ মার্চ ডিজিপি করা হয় সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়কে। এরপর রাজ্যের একাধিক পুলিশ সুপার এবং জেলা শাসককে বদল করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি অমিত রায় চৌধুরী এবং রাহুল নাথের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে, রাজ্য আসার পর এই প্রথম মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে হাজির হয়েছিলেন রাজ্যে নিযুক্ত বিশেষ সাধারণ পর্যবেক্ষক অলোক সিনহা। তিনি মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব সহ অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
CEO দফতরে এলেন পশ্চিমবঙ্গের জেনারেল স্পেশাল অবজার্ভার অলোক সিনহা,আজ থেকে শুরু বাড়িতে ভোটদান
জানা গিয়েছে, রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেই যেই জায়গাগুলিতে 'অশান্তি' হয়েছিল সেই জায়গাগুলির তথ্য চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলতে শোনা যায় তাঁকে। কোনও ভোটার ভোট দিতে এসে যাতে ফেরত না যান তা নিশ্চিত করতে হবে বলে জানান তিনি। প্রথম দফার নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের সহ সাধারণ ভোটার নিজের ভোটাধিকার যাতে প্রয়োগ করতে পারেন, সেই জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে হবে বলে জানান তিনি।