• CV Ananda Bose : বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের অভিযোগ, বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের
    এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • রাজ্য রাজ্যপালের সংঘাত আরও দীর্ঘায়িত। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে সরানোর দাবি তোলার পর রাজ্যপালের বিরুদ্ধে চিঠি দিয়েছিল রাজ্য সরকার। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে হিংসা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।রাজভবনের তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে হিংসা হচ্ছে, রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল। বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা খতিয়ে দেখবে সেই বিচার বিভাগীয় কমিটি। এক সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট বা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে দিয়ে এই কমিটি গঠন করা হবে।

    বুধবার রাজ্যপালের তরফে একটি রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করা হয়েছিল। সেখানেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের নির্দেশে উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে রেখেছেন বলে দাবি করা হয়। রাজ্যের উচ্চশিক্ষা দফতরের থেকে বেআইনি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টের নির্দেশ স্মরণ করিয়ে রাজ্যপালের ক্ষমতা সম্পর্কে মতামত তুলে ধরা হয় সেই চিঠিতে।

    এরপরেই অবশ্য, রাজ্যের তরফে একটি নয় পাতার চিঠি প্রকাশ করা হয়। সেখানে জানানো হয়, রাজ্যপাল তাঁর ‘এক্তিয়ার বহির্ভূত’ কাজ করছেন। তাঁরা চিঠিতে জানায়, রাজপাল নিয়ম মাফিক কাজ করছেন না। তিনি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করে রাজ্যের পড়ুয়াদের অনিশ্চিয়তার মুখে ঠেলে দিতে চাইছেন। বিষয়টি নিয়ে জোরালো প্রতিবাদ করা হয়।

    সম্প্রতি, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্যকে সরানো নিয়ে রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাত চরম আকার ধারণ করে। রাজ্যের তরফে অভিযোগ তোলা হয়, ‘যোগ্য’ এবং উপযুক্ত ব্যক্তিদের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে না রাজ্যপালের তরফে। সেই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পঠনপাঠনের অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে।

    এর মাঝেই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে দিন কয়েক আগে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ওয়েবকুপার একটি কনভেনশনে উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সেই পদক্ষেপ নির্বাচনী আদর্শ আচরণ বিধি লঙ্ঘনের সামিল বলে অভিযোগ তোলা হয়। শিক্ষামন্ত্রীকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরই জবাবে পুরো বিষয়টিকে ‘হাস্যকর’ বলে দাবি করেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে দুই তরফের এই সংঘাতের মাঝে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যপাল। এবার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের পথে এগোলেন তিনি। ফলত, দুই তরফে সংঘাত আরও বাড়তে চলছে বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলে।
  • Link to this news (এই সময়)