Birth Certificate: নিয়মে বড় বদল, অভিভাবকদের ধর্ম উল্লেখ না করলে মিলবে না বার্থ-সার্টিফিকেট
এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
দেশে জন্ম নিবন্ধনের নতুন নিয়ম চালু হয়েছে কয়েক মাস আগে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জারি করা নতুন নিয়ম অনুসারে, এবার থেকে সন্তানের জন্ম নিবন্ধন করার সময় বাবা এবং মা উভয়কেই তাঁদের নিজ নিজ ধর্ম নথিভুক্ত করতে হবে। এই নিয়ম কার্যকর করার আগে কেন্দ্রের তরফে সবকটি রাজ্য প্রশাসনের কাছেই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। এই নিয়ম রাজ্য সরকারগুলোর কাছে গৃহীত হওয়ার পরই তা বাস্তবায়ন সম্ভব হবে। জন্ম সংশাপত্র পেতে 'ফর্ম নং ১ - বার্থ রিপোর্ট' পূরণ করার প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক৷ আগে জন্ম নিবন্ধনে শুধুমাত্র পরিবারের ধর্মই লিপিবদ্ধ করা হত। এবার থেকে 'ফর্ম নং ১ বার্থ রিপোর্টে'-এ সন্তানের ধর্মের সঙ্গে 'বাবার ধর্ম' এবং 'মায়ের ধর্ম'-উল্লেখ করার জন্য আলাদা আলাদা জায়গা রয়েছে। দত্তক নেওয়া অভিভাবকদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। ১১ আগস্ট, ২০২৩-এ সংসদে পাশ হওয়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন (সংশোধন) আইনের অধীনে জন্ম ও মৃত্যুর ডাটাবেস জাতীয় পর্যায়ে রক্ষণাবেক্ষণ করা হচ্ছে। এটি জাতীয় জনসংখ্যা নিবন্ধন (NPR), ভোটার নিবন্ধন, আধার নম্বর, রেশন কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সম্পত্তি নিবন্ধনের মতো অন্যান্য ডেটাবেস আপডেট করতে ব্যবহার করা হবে।কেন্দ্রীয় সরকারের পোর্টাল সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেমের (crsorgi.gov.in) মাধ্যমে জন্ম ও মৃত্যুর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন এখন বাধ্যতামূলক হয়ে উঠেছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ বিভিন্ন সেবার জন্য ডিজিটাল জন্ম সনদ প্রদান আরও সহজ হয়েছে। জন্ম নিবন্ধনে এবার থেকে বেশ কিছু অতিরিক্ত বিবরণ যোগ করতে হবে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে আধার নম্বর, বাবা-মায়ের মোবাইল এবং ইমেল আইডি এবং বিস্তারিত ঠিকানা। তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে তাঁর আধার এবং যোগাযোগের বিশদও বিবরণও দিতে হবে।
সংশোধিত আইন অনুসারে, ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর একটি জাতীয় ডাটাবেস বজায় রাখবেন। নতুন আইন অনুযায়ী, জন্ম-মৃত্যুর তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম পোর্টাল crsorgi.gov.in এ ডিজিটাল পদ্ধতিতে রেজিস্টার করাতে হবে। এই পোর্টাল থেকে পাওয়া ডিজিটাল বার্থ সার্টিফিকেট ব্যবহার করে স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে যাবতীয় সরকারি পরিষেবা পাওয়া যাবে। এই ডেটা থেকে জন্মের সময় লিঙ্গ অনুপাত, শিশু মৃত্যুর হার, মৃত জন্ম এবং মৃত্যু সবই মিলবে। জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় প্রতিটি বিষয়ই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক নতুন আইন সম্পর্কে বলছে, 'এটি নিবন্ধিত জন্ম ও মৃত্যুর ডাটাবেস তৈরিতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি ডিজিটাল নিবন্ধনের মাধ্যমে সরকারি পরিষেবা এবং সামাজিক সুবিধাগুলির দক্ষ ও স্বচ্ছ সরবরাহ নিশ্চিত করবে।' শুধুমাত্র নিজের সন্তানের ক্ষেত্রে নয়, দত্তক নেওয়া সন্তানের বার্থ সার্টিফিকেটের আবেদনপত্রেও উল্লেখ করতে হবে বাবা ও মায়ের ধর্ম।