• তালিকায় বাংলার এই হেভিওয়েট কেন্দ্র, ১৯-এর কোন কোন আসন ২৪-এও চর্চায়?
    এই সময় | ০৫ এপ্রিল ২০২৪
  • লোকসভা নির্বাচনের আর হাতে গোণা কয়েকদিন বাকি। একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থী এবং কেন্দ্রের দিকে নজর রয়েছে এবারও। ২০১৯ সালে যে সমস্ত আসনগুলি নজর কেড়েছিল, সেখানে এবারের নির্বাচনে কী পরিস্থিতি?বারাণসী- নরেন্দ্র মোদী৪ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৫ ভোটে বারাণসী থেকে ২০১৯ সালের লোকসভায় জিতেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল ৬ লাখ ৭৪ হাজার ৬৬৪। অন্যদিকে, সমাজবাদী পার্টির শালিনী যাদব পেয়েছিলেন কেবলমাত্র ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৫৯টি ভোট। কংগ্রেসের প্রার্থী অজয় রাই ছিলেন তৃতীয় স্থানে। তিনি পেয়েছিলেন ১ লাখ ৫২ হাজার ভোট। এবারও এই আসনে নরেন্দ্র মোদীর মুখোমুখি অজয় রাই।

    গান্ধীনগর- অমিত শাহকেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গান্ধীনগর থেকে ৫ লাখ ৫৭ হাজার ১৪ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। গান্ধীনগর আসনে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন কংগ্রেসের প্রার্থী ডা. সি জে চাবড়া। তিনি পেয়েছিলেন ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬১০টি ভোট। অমিত শাহ পেয়েছিলেন ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৬২৪টি ভোট। বাকি ১৬ জন প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছিল। এই আসন থেকেই পূর্বে জয়ী হয়ে সংসদে গিয়েছিলেন লালকৃষ্ণ আডবানির মতো বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। এবারও গান্ধীনগর আসন থেকেই লড়ছেন অমিত শাহ।

    আমেঠি- স্মৃতি ইরানি২০১৯ সালে আমেঠি আসন থেকে রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করেছিলেন স্মৃতি ইরানি। এই হাই প্রোফাইল আসন বরাবরই কংগ্রেসের গড় হিসেবে পরিচিত ছিল। ২০২৪ সালেও এই আসন থেকেই ভোটে লড়ছেন স্মৃতি ইরানি। এখনও পর্যন্ত কংগ্রেস এই আসনে কোনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি। ২০১৯ সালে স্মৃতি ইরানি ৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫১৪ ভোট পেয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী পেয়েছিলেন ৪ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৪টি ভোট। ২০১৪ সালের নির্বাচনে রাহুল গান্ধী স্মৃতি ইরানিকে ১ লাখ ৭ হাজার ৯০৩ ভোটে হারিয়েছিলেন।

    রাহুল গান্ধী ওয়েনাডকংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আমেঠিতে পারিবারিক গড়ে পরাজিত হলেও কেরালার ওয়েনাড আসন থেকে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৭০ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। রাহুল গান্ধী ৭ লাখ ৬ হাজার ৩৬৭টি ভোট পেয়েছিলেন। CPI-এর সুনীর পেয়েছিলেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ৫৯৭টি ভোট। এ বারও ওয়েনাড আসন থেকে প্রার্থী রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই তিনি মনোনয়ন জমা করেছেন।

    বেগুসরাই- কানহাইয়া কুমারলোকসভা ভোটে ২০১৯ সালে বিহারের বেগুসরাই আসনটি হটসিট হিসেবে চর্চায় ছিল। JNU-এর ছাত্রনেতা কানহাইয়া কুমার এই আসনের প্রার্থী হিসেবে খবরের শিরোনামে ছিলেন। BJP-র তরফে এই আসনে দাঁড়িয়েছিলেন দৌর্দণ্ডপ্রতাপ গিরিরাজ সিং। লড়াইও হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বেগুসরাই আসনে মোট ১৯ লাখ ৫৮ হাজার ৩৮২টি ভোটার ছিল। যার মধ্যে BJP প্রার্থী গিরিরাজ সিং পেয়েছিলেন ৬ লাখ ৯২ হাজার ১৯৩ ভোট। CPI-এর প্রার্থী কানহাইয়া কুমার পেয়েছিলেন ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯৭৬ ভোট। মোট ৪ লাখ ২২ হাজার ২১৭ ভোটে হেরে যান তিনি।

    গুনা- জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াBJP ২০২৪ সালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে গুনা লোকসভা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করিয়েছে। কিন্তপ, ২০১৯ সালে তিনি ছিলেন কংগ্রেসে। সে সময় এই গুনা আসন থেকেই BJP প্রার্থী ডা. কে পি যাদবের কাছে হেরে যান। BJP প্রার্থী ৬ লাখ ১৪ হাজার ৪৯ ভোট পেয়েছিলেন। সিন্ধিয়া পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫০০ ভোট।

    লখনউ- পুনম সিনহালখনউ লোকসভা আসনে BJP-র ১৯৯১ সাল থেকে কব্জা। ২০১৯ সালে BJP থেকে কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন শত্রুঘ্ন সিনহার স্ত্রী পুনম সিনহা। তিনি রাজনাথ সিংয়ের কাছে ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৩০২ ভোটে হেরেছিলেন। রাজনাথ সিং পেয়েছিলেন ৬ লাখ ৩৩ হাজার ২৬ ভোট। পুনম সিনহা পেয়েছিলেন ২ লাখ ৮৫ হাজার ৭২৪ ভোট।

    আসানসোল- শত্রুঘ্ন সিনহাপশ্চিমবঙ্গে BJP ২০১৪ সালে দু'টি আসনে জয় পেয়েছিল। কিন্তু, ২০১৯ সালে তারা ১৮ আসনে জয় পায়। ভোটের সময় বাংলার সবচেয়ে চর্চিত আসনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল আসানসোল। যেখানে BJP-র টিকিটে লড়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়ো। তিনি হারিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেনকে। ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭ ভোটে হেরেছিলেন তিনি। বাবুল সুপ্রিমো পেয়েছিলেন ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৩৭৮ ভোট। মুনমুন সেন পেয়েছিলেন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪১টি ভোট। ২০১৪ সালে BJP-র টিকিটে ২ লাখ ৬৫ হাজার ভোটে জিতে শত্রুঘ্ন সিনহা পাটনা সাহিব আসন থেকে সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ২ লাখ ৮৪ হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন তিনি। BJP-র রবিশংকর প্রসাদ ৬ লাখ ৭ হাজার ৫০৬ ভোট পয়েছিলেন। কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচনে লড়া শত্রুঘ্ন সিনহা পেয়েছিলেন ৩ লাখ ২২ হাজার ৮৪৯ ভোট। এই শত্রুঘ্ন সিনহাই বর্তমানে তৃণমূলের টিকিটে আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী। আর প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ো বর্তমানে তৃণমূল বিধায়ক তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মন্ত্রী
  • Link to this news (এই সময়)