আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে ১৮তম লোকসভা নির্বাচন। চলবে ১ জুন পর্যন্ত। ৫৪৩টি লোকসভা আসনে ভোট হবে মোট সাত দফায়। জোরকদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে শাসক-বিরোধী উভয় শিবিরের প্রার্থীরা। সম্প্রতি উত্তর ভারতের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। এক মহিলাকে BJP-র প্রচার ভ্যানকে লক্ষ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শোনা যায়। বিষয়টি কি সত্যি?কী ভাইরাল হয়েছে?লোকসভা ভোটের একটি ভিডিয়ো সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, উত্তর ভারতে BJP-র প্রচার ভ্যান চলাকালীন কয়েকজন স্থানীয় মহিলা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করছেন। ভ্যানটিকে এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলছেন একদল মহিলা। স্থানীয়দের বিক্ষোভের মাঝে পড়ে প্রচার ভ্যানের চালক গাড়ি ঘুরিয়ে নেন। পাশাপাশি ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা যায়, গ্রামবাসীরা ওই BJP প্রচার ভ্যানের থেকে সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা সেই ভাইরাল ভিডিয়োর ক্যাপশনে লেখা রয়েছে, 'BJP-র ৪০০ পার ভোটের ট্রেন্ড কেমন তা দেখাই যাচ্ছে।' সঙ্গে হ্যাশট্যাগে লেখা #NoVoteToBJP.
অনুসন্ধানফ্যাক্ট ক্রিসেন্ডো ওয়েবসাইট এই ভাইরাল ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করতে অনুসন্ধান চালায়। ভিডিয়োটি ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার পর দেখা যায়, স্থানীয়রা প্রত্যেকেই হিন্দিতে কথা বলছেন। কিওয়ার্ড দিয়ে গুগল সার্চ করা হয়। তখনই এই ঘটনার অপর একটি ভিডিয়ো দেখা যায়। জানা যায়, এটি আদতে ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময়কার একটি ভিডিয়ো। মুজফফরপুরের কুঁন্ধনি বিধানসভা আসনে প্রচার চলাকালীন ভিডিয়োটি তোলা হয়। BJP বিধায়ক কেদার প্রসাদ গুপ্তা এলাকায় পৌঁছতেই গ্রামবাসীরা তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগানিং শুরু করেন। তাঁর সমর্থনে লাগানো পোস্টারগুলি ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায় মহিলাদের। গাড়িটিকে ফিরে যেতে বাধ্য করা হয়।
হিন্দি মিডিয়া ওয়েবসাইট জনসত্তা এই ঘটনাটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিধায়ক কেদার প্রসাদ গুপ্তা পাঁচ বছরে একবারও নিজের কেন্দ্রে মুখ দেখাননি। ফলে তিনি যখন ভোট চাইতে আসেন ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা।
সত্যিটা কী?অতএব ২০২৪ নির্বাচনের আগে উত্তর ভারতের কোনও অংশে প্রচার চলাকালীন মহিলাদের অকথ্য গালিগালাজ বলে প্রচার করা ভাইরাল ভিডিয়োটি অসত্য। এই ভিডিয়ো ২০২০ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের সময়কার। এই ভিডিয়ো নিয়ে প্রচারিত সমস্ত ভাইরাল তথ্যই বিভ্রান্তিকর। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্ক নেই।
(This story was originally published by Fact Crescendo, and republished by Ei Samay Digital as part of the Shakti Collective.)