S Jaishankar : 'পাকিস্তানেও যদি একজন জয়শংকর থাকতেন...', আক্ষেপ পাক বিশেষজ্ঞের
এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
পাকিস্তানেও একজন জয়শংকর দরকার। এমনটাই মনে করছেন পাক বিশেষজ্ঞরা। পাকিস্তানের রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং ইউটিউবার কামার চিনা বলেছেন, সন্ত্রীসবাদে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়ছে পাকিস্তান। সন্ত্রাসী হামলায় মারা যচ্ছেন পাকিস্তানিরা। সন্ত্রাসের সমর্থকও বলা হচ্ছে। ভালো আইনজীবী না থাকায় পাকিস্তান বিশ্বের কাছে ঠিকভাবে কথা বলতে পারে না। অন্যদিকে, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি। এস জয়শংকর যেভাবে বিশ্বের সামনে তাঁর মতামত তুলে ধরছেন পাকিস্তানের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে না।এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের সামনে পাকিস্তানের ভাবমূর্তি কীভাবে উন্নত হবে এবং ইসলামাবাদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে বদলাবে তা নিয়ে চিন্তিত পাক বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয়ে পাকিস্তানের বুদ্ধিজীবী ও শিক্ষাবিদ সৈয়দ মোহাম্মদ আলির সঙ্গে কথা বলেছেন কামার চিমা। বিশ্বে পাকিস্তানের অবস্থান কীভাবে উন্নত করা যায় তা জানিয়েছেন সৈয়দ আলি।
কামার চিনা বলেন, প্রতিটি দেশের নিজস্ব আইনজীবী আছে। ভারতের একজন উজ্জ্বল কূটনীতিক ডঃ এস জয়শংকর একজন আইনজব হিসেবেই আছেন। তিনি সারা বিশ্বের কাছে ভারতের গল্প তুলে ধরছেন।
তিনি বলেন, কিন্তু আমরা যখন পাকিস্তানের দিকে তাকাই এবং যখন আমরা পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দিকে তাকাই তখন আমরা একজন আইজীবীর সন্ধান করি যিনি এস জয়শংকরের মতো বিশ্বকে পাকিস্তানের গল্প শোনাতে পারে।
চিনা সৈয়দ এ বিষয়ে সৈয়দ আলিকে প্রশ্ন করেছিলেন যে পাকিস্তানে কাকে তিনি দেশের আইনজীবী হিসেবে দেখেন? চিমার প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ আলি বলেন, পাকিস্তানের শুধুমাত্র নেতাদের উপর নির্ভর করা উচিত নয়, এটা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এলং কূটনীতিকদের একার কাজ নয়। আমাদের শুধুমাত্র তাদের উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এটা দেশের বাইরে থাকা সব পাকিস্তানদেরও কাজ।
তিনি বলেন, যেহেতু পাকিস্তানিরা সারা বিশ্বে ক্রিকেট লিগ খেলছে, তাই এটি একটি সফট পাওয়ার। বিশ্বে পাকিস্তানের অবস্থান পরিবর্তন করার ক্ষমতা এই লোকগুলোর আছে। বর্তমানে লন্ডনের মেয়র পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত। তার কাজ আমাদের যে কোনও রাষ্ট্রদূতের চেয়ে আমাদের ভাবমূর্তি উন্নত করতে পারে। তিনি বিশ্বাস করেন যে পাকিস্তানিদের মধ্যে প্রতিভার অভাব নেই। তাই এই পরিস্থিতিতে সকলের উচিত নিজেদের পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিবেচনা করা। সৈয়দ আলি আরও বলেন, সারা বিশ্বে পরিবর্তন আসছে এবং এটাই স্বাভাবিক। এর প্রভাব পড়ছে সমাজের ছোট ছোট অংশে। পরিবার থেকে শুরু করে গোটা বিশ্বে। এটি বিশ্বের বৈদেশিক নীতি পরিবর্তনেও কাজ করেছে।