সাইবার অপরাধের শিকার? নাগরিক পরিষেবায় দারুণ উদ্যোগ নিউ ব্যারাকপুর থানায়
এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
সাইবার প্রতারণা থেকে জনসাধারণকে মুক্তি দিতে থানায় থানায় খোলা হচ্ছে ‘সাইবার বন্ধু’ বিভাগ। নিজের এলাকার থানায় গিয়েই যাতে সুরাহা মেলে সেই জন্যেই এই পদক্ষেপ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। সাইবার প্রতারণায় ফাঁদে পড়লে আর যেতে হবে না বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা। ঘোলা থানার পর এবার নিউ ব্যারাকপুর থানায় চালু হল সাইবার বন্ধু।কারও আধার নম্বর দিয়ে প্রতারক তুলে নিয়েছে হাজার হাজার টাকা। আবার কারও ক্রেডিট কার্ড নম্বর দিয়ে করা হচ্ছে প্রতারণা। অনলাইনে ভুয়ো ওয়েবসাইট বা মোবাইলে বিদ্যুৎ অফিস বা লোনের অফার নিয়ে কল আসা, এরকম একাধিক পন্থা বেছে নিচ্ছে প্রতারকরা। সেখান থেকে সুরক্ষা দিতেই চালু হল এই সাইবার বন্ধু। এই বিভাগের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে উপিস্থিত ছিলেন ACP ঘোলা তনয় চট্টোপাধ্যায় এবং নিউ ব্যারাকপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুমিত কুমার বৈদ্য।
প্রতি মুহূর্তে রাজ্যের নানা প্রান্তে বেড়ে চলেছে সাইবার প্রতারণা। দিনদিন তার মাত্রা ক্রমশ বাড়ছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলারও নানা প্রান্তে প্রতিদিন সাইবার ক্রাইমের অপরাধ দায়ের হচ্ছে স্থানীয় থানা গুলিতে। সে ক্ষেত্রে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানাকে বাড়তি চাপ সামলাতে হচ্ছিল এতদিন যাবৎ। পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেতে হত বিধাননগরে। তবে এবার, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় ঘোলার পর নিউ ব্যারাকপুর থানায় চালু করল সাইবার ক্রাইম অপরাধের বিশেষ ডেস্ক। যার নাম দেওয়া হয়ে সাইবার বন্ধু।
ডিজিটাল যুগে কেউ প্রতারিত হচ্ছেন ব্যঙ্কে কেউ আবার মোবাইল ফোন অথবা অনলাইন সামাজিক মাধ্যমে। এধরনের অপরাধমূলক কাজের দ্রুত সমস্যার সমাধানে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের উদ্যোগে কমিশনারেটের আওতায় সমস্ত থানায় চালু করা হচ্ছে সাইবার বন্ধু। অনলাইনে প্রতারিত হলেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সাইবার বন্ধু।
পাশাপাশি থানায় সর্বসাধারনের জন্য বিশুদ্ধ ঠান্ডা পানীয় জলের মেশিন ও চালু করা হয়। বিভিন্ন সময়ে উদ্ধার হওয়া আটটি মোবাইল ফোন ও দুই ব্যক্তির টাকা তুলে দেওয়া হয় এদিন। টাকা ও মোবাইল ফেরত পেয়ে রীতিমতো পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান উপকৃত ব্যক্তিরা। পুলিশ যে সমাজের বন্ধু,মানুষের বন্ধু তা আজ অনেকেই শিকার করলেন, যা তারা হাতেনাতে প্রমাণ পেলেন।কেউ তার মোবাইল হারিয়েছে ২০২২ সালে, আবার কেউ তার আমানত করা টাকা ব্যাঙ্ক থেকে অনলাইনে হারিয়েছে। কয়েক বছর ধরে ঘটে যাওয়া এমন ঘটনার সুরাহা মেলায় খুশি নাগরিকরা।