• 'সবুজায়নের বার্তা দিতে চেয়েছিলাম', গোরু নিয়ে নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা রচনার
    এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
  • সিঙ্গুরে প্রচারে গিয়ে দই খেয়ে বিশেষ মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা রীতিমতো ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রচারে গিয়ে দলীয় কর্মীর বাড়িতে একতা ভোজে যোগ দিয়ে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, সিঙ্গুর এত ঘাস গাছপালায় ভর্তি। সেগুলো খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হচ্ছে গোরু। তাই তার দুধের দইও ভালো। রচনার এই বক্তব্য সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগেনি। মিমও তৈরি হয় বিস্তর।

    শুক্রবার বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন রচনা। সেখানেই প্রচন্ড গরমের মধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন বাঁশবেড়িয়া পুরসভার পুর প্রধান আদিত্য নিয়োগী। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রচনা বলেন, 'আমরা চেষ্টা করলে গাছ বসাতে পারি। সবুজায়ন করতে পারি। মানুষ যত তাড়াতাড়ি তা বুঝবে ততই ভালো। আমরা চেষ্টা করব মানুষকে বোঝাতে।' তাঁর সংযোজন, 'আমি এই কারণেই সেই বক্তৃতা দিয়েছিলাম যা ভাইরাল হয়েছিল এবং যা নিয়ে এত মিম তৈরি হল। আমার বক্তব্য এটাই ছিল।'

    অর্থাৎ সবুজায়নের জন্যই গোরু নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন বলে জানান রচনা। তিনি আরও বলেন, 'সিঙ্গুরের জমি আজ এত সবুজ যে সেখানে গোরুরা ঘাস খাচ্ছে, সেই জমির ফসল আমরাও খাচ্ছি। সেটাই আমার মূল বক্তব্য ছিল। তা নিয়ে যে যার মতো বলেছে। তবে আমার মনে হয় সবুজায়ন দরকার।' এদিকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে সরব হয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। বাম প্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, ' টাটাকে তাড়িয়ে গোটা রাজ্যের শিল্পের ভবিষ্যৎ একযোগে নষ্ঠ করেছে তৃণমূল BJP।'

    Rachna Banerjee Election Campaign : গরমে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোটের প্রচারে বিপত্তি! অসুস্থ পুরসভার চেয়ারম্যান

    লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বাংলায় শিল্পের পরিবেশ আছে। কিন্তু, সিন্ডিকেট, দুর্নীতির কারণে কোনও শিল্প আসছে না। আমরা চাই সিঙ্গুরে শিল্প আসুক, ছেলেরা কাজ পাক,পরিবার তৈরি হোক এবং বাড়িতে মা লক্ষ্মী আসুক।' এই বছর হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী করেছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। দিদি নং ১ শোয়ের মাধ্যমে বিপুল জনপ্রিয় তিনি। টলিপাড়ার অন্যতম পরিচিত মুখ।

    গত লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন BJP প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই বারও তাঁর উপরেই ভরসা রেখেছে দল। টলিপাড়ার একদা দুই সতীর্থ মুখোমুখি হয়েছেন লোকসভা নির্বাচনে। এখন দেখার, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে শেষ হাসি কে হাসেন?
  • Link to this news (এই সময়)