সন্দেশখালিকাণ্ডেই লাইমলাইটে প্রাক্তন বিধায়ক, বসিরহাটে 'চেনা বামুন'-এই ভরসা বামেদের
এই সময় | ০৬ এপ্রিল ২০২৪
সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ, পুলিশের হাতে গ্রেফতার, এরপর ১৭ দিনের জেল যাত্রা। সংবাদের শিরোনামে উঠে আসেন সন্দেশখালির প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। বসিরহাট কেন্দ্র জুড়ে আলোচনার বিষয়বস্তু সন্দেশখালি, তা বলাই বাহুল্য। জল্পনা ছিলই, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে সেই নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করল বামফ্রন্ট।শুক্রবার বিকেলে আরও এক দফায় বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। ব্যারাকপুর, বসিরহাট, ডায়মন্ড হারবার সহ পাঁচটি কেন্দ্রের প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন ফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সেখানেই দেখা যায়, এই কেন্দ্র থেকে এবার সিপিএম প্রার্থী দিচ্ছে নিরাপদ সর্দারকে। বরাবরই এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী দিয়ে আসছিল সিপিআই। তবে, এবার শুরু থেকেই এই আসনটি শরিকদের হাতে ছাড়তে চায়নি সিপিএম। বামফ্রন্টের নিজস্ব আলোচনায় এই আসনটি থেকে এবার নিরাপদ সর্দারকে প্রার্থী করার জোরালো দাবি তোলা হয়েছিল সিপিএমের তরফে। তবে মাঝে কংগ্রেস এবং আইএসএফের সঙ্গে এই আসন নিয়ে বোঝাপড়া চলার কারণেই প্রার্থী ঘোষণা করতে অনেকটাই সময় লাগল বামেদের।
দীর্ঘ আলোচনার পর আসন সমঝোতায় এক সূত্রে আসতে পারেনি বামফ্রন্টের দলগুলির সঙ্গে আইএসএফ। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই কেন্দ্রে প্রথম থেকেই প্রার্থী দেওয়ার ব্যাপারে উদ্ধত ছিল আইএসএফ। বসিরহাট কেন্দ্রটি ছাড়ার ব্যাপারে কোনওভাবেই পক্ষপাতী ছিল না নওশাদ সিদ্দিকির দল। অন্যদিকে, বামেদের তরফেও এই আসনটি ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে গ্রিন সিগন্যাল দেওয়া হয়নি। শেষমেষ ISF-এর সঙ্গে জোট না হওয়ায় এদিন বসিরহাটের প্রার্থী ঘোষণা করা হয় নিরাপদকে।
১৯৭৭ সালের পর থেকেই সন্দেশখালি আসনটি নিজেদের দখলে রেখেছিল বামেরা। ২০১১ সালে পালা বদলের সময়ও এই আসনটি ধরে রাখতে পেরেছিল বামেরা। সেইবার এই আসনে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের কান্ডারী ছিলেন নিরাপদ সর্দার। তৃণমূল কংগ্রেসের পদ্ম মাহাতোকে চার হাজারের কাছাকছি ব্যাবধানে হারিয়েছিলেন তিনি। যদিও, ২০১৬ সালেই তৃণমূলের সুকুমার মাহাতোর কাছে হারতে হয় তাঁকে।
সন্দেশখালি কাণ্ডের সময় ফের লাইম লাইটে আসেন নিরাপদ সর্দার। অশান্তির জেরে গত ১১ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন তিনি। এরপর প্রায় ১৭ দিন জেলে থাকতে হয়েছে তাঁকে। হাইকোর্টের নির্দেশে পরে ছাড়া পান তিনি। সন্দেশখালি কাণ্ডের সময় তিনি আগেই দাবি করেছিলেন, ওই এলাকার ঘটনার কথা তিনি অনেক আগেই বিধানসভায় উত্থাপিত করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু তাঁকে সে কথা বলতে দেওয়া হয়নি। সন্দেশখালির সেই বিধায়কের উপর ভরসা করেই এবার বসিরহাট কেন্দ্রে লড়াইয়ের পথে বামেরা।